ঢাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্র ছিল ৫ দশমিক ৭। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদীতে। ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
বাংলাদেশেও ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের শঙ্কা আছে অনেক আগেই ধারণা করেছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। বিশেষজ্ঞরা অনেকদিন থেকেই বাংলাদেশ বড় কোনো ভূমিকম্পের মুখোমুখি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন।
কয়েকমাস আগেই প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছিল হাজারে। মিয়ানমারের ভূমিকম্পের জেরে থ্যাইল্যান্ডেও মৃত্যু, দালান, রাস্তাঘাটের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ভূমিকম্প যে কোনো সময় হতে পারে। আগেভাগে জানান দিয়ে ভূমিকম্প বোঝার আসলে উপায় নেই তেমন। তাই সর্বদা সতর্ক থাকুন। প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন।
ভূমিকম্প হলে দ্রুত যা করবেন-
>> ভূমিকম্প টের পেলে বা খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে ফাঁকা স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিন।
>> উঁচু ভবনে থাকলেও বের হতে না পারলে শক্ত কোনো খাম্বার নিচে অবস্থান নিন।
>> মানসিকভাব অস্থির না হয়ে ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলা করুন।
>> বহুতল ভবনে একই জায়গায় অনেক মানুষ একসঙ্গে না থেকে ভাগ হয়ে আশ্রয় নিন।
>> মুঠোফোনে ফায়ার সার্ভিস ও দরকারি মোবাইল নম্বরগুলো আগের থেকেই রেখে দিন।
>> দ্রুত নামার জন্য ভবন থেকে লাফিয়ে পড়বেন না।
>> ভূমিকম্পের সময় সম্ভব হলে মাথার ওপর শক্তকরে বালিশ অথবা অন্য কোনো শক্ত বস্তু কাঠবোর্ড, নরম কাপড় চোপড়ের কুণ্ডলি ধরে রাখুন।
>> গ্যাস ও বৈদ্যুতিক সংযোগ থেকে দূরে অবস্থান নিন।
>> ভূমিকম্পের সময় উঁচু ভবন থেকে দ্রুত নামতে লিফট ব্যবহার করবেন না।
>> এ সময় গাড়িতে থাকলে ফাঁকা স্থান বেছে নিন ও গাড়িতেই থাকুন।
>> একবার ভূমিকম্পের পরপরই আরেকটি ছোট ভূমিকম্প হয় যাকে বলে আফটার শক। এজন্য এর পরের কয়েক ঘণ্টা সতর্ক থাকুন ও নিরাপদ স্থান বেছে নিন।





























