• ঢাকা
  • বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে চুক্তি সই


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২২, ০৭:২৭ পিএম
বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে চুক্তি সই

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে (নাসিক) বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে চু‌ক্তি স্বাক্ষা‌রিত হয়েছে। বৃহস্প‌তিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকা‌লে রাজধানীর এক‌টি হো‌টে‌লে চাইনিজ প্রতিষ্ঠান ইউ অ্যান্ড ডি এবং নাসিকের মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষারিত হয়।

বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে নারায়ণগঞ্জে ৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, “বর্জ্য আমাদের পরিবেশকেই শুধু নয়, এটা পরিবেশের পুরো প্রক্রিয়াকেই বাধাগ্রস্ত করে। আমাদের নদীগুলোকে শেষ করে দিচ্ছে। এমন প্রকল্পের আওতায় বর্জ্য সম্পদে পরিণত হবে। এটি বিদ্যুৎ বিভাগ ক্রয় করে নিবে।”

মন্ত্রী আরও বলেন, “বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎসহ জ্বালানি নিয়ে কিছুটা সমস্যায় রয়েছে। বাংলাদেশ জ্বালানি সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে।  অন্য দেশগুলোর তুলনায় এ সময়ে বাংলাদেশের অর্জন প্রশংসার দাবিদার। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদনে মনোযোগ দিচ্ছে।”

অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “বহু চেষ্টার পর আমরা একটা জায়গায় সফল হতে যাচ্ছি। ১১ বছরে প্রচেষ্টায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প কাজের চুক্তি করতে যাচ্ছি। যা শুরু হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন হাত ধরে। এখানে   আমরা এই প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ কিনব প্রায় ২০ টাকা করে। এখন থেকে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তবু আমরা এই প্রকল্প শুরু করছি শুধু মাত্র বর্জ্যকে কাজে লাগানোর জন্য।”

নসরুল হামিদ আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বার বার বলেছেন বর্জ্যের সমস্যা আমরা কিভাবে সমাধান করতে পারি। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা দেশের প্রতি সিটি কর্পোরেশনে ধীরে ধীরে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প হাতে নিয়েছি।”

নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, “শহরে আমাকে প্রচুর পরিমাণে সেবা দিতে হয়। সেই কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে গিয়ে আমার অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে কাজ করতে হয়। অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা, রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতাসহ অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নারায়ণগঞ্জ সিটিতে অনেক কাজ করেছি আমাদের শুধু বাকি ছিল এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা।”

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে আইভী বলেন, “২০০৭ সালে যখন সাবস্টেশন করার জন্য আপনার মন্ত্রণালয় কোথাও জমি পাচ্ছিল না তখন আমরা বিনা টাকায় জায়গা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছি। কারণ আমার মাথার মধ্যে ছিল যদি সাবস্টেশন করতে দেই তাহলে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। কিন্তু প্রথম দিকে আমার এলাকার জনগণের খুবই নাখোশ ছিল। যখন আমরা জনগণকে বুঝিয়ে বলেছি, যারা সব থেকে বেশি নাখোশ হয়েছিল তারাই বেশি সহযোগিতা করেছেন।”

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিদ‌্যুৎ বিভা‌গের সে‌ক্রেটা‌রি মো. হা‌বিবুর রহমানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!