বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুমের মরদেহ দেশে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে তার মরদেহ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-০২৬ ফ্লাইটে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
কাতারের রাজধানী দোহা থেকে বিমানের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের এয়ারক্রাফট ভারতের নাগপুরে গিয়ে তার মরদেহটি দেশে নিয়ে আসে।
এদিকে ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ও সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বিমানের এমডি ও সিইও ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালসহ বিমান ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পরিবার জানায়, জানাজা শেষে নওশাদের মরদেহ বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
গত রোববার (২৯ আগস্ট) নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর তার মরদেহ নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের হিমঘরে ছিল।
এর আগে শুক্রবার (২৭ আগস্ট) ওমানের মাস্কাট থেকে ১২৪ যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ অসুস্থ হয়ে যান। ফ্লাইটটি মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।
জরুরি অবতরণের পরপরই এই পাইলটকে স্থানীয় হোপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
গত ২৭ আগস্ট নওশাদ ও তার ফার্স্ট অফিসারের কারণে জীবন রক্ষা পেয়েছিল ওমান থেকে ঢাকার উদ্দেশে আসা ১২৪ যাত্রীর। ২০১৬ সালেও ১৪৯ যাত্রী এবং ৭ ক্রু’র জীবন বাঁচিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ।