শরীরে অবাঞ্চিত লোম তুলে ফেলতে শেভিং করা হয়। ছেলেরা প্রতিনিয়তই শেভিং করে। মেয়েরাও সৌন্দর্য্যের খাতিরে হাত ও পায়ের লোম তুলতে শেভিং করছে। অনেকের ধারণা, শেভিং চামড়ার জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে নারীরা শেভিং করলে ত্বকের নিচের কোষ শুকিয়ে যায়। বিষয়টি কতটা সত্যি জানেন? বিশেষজ্ঞরা জানান, শেভিংয়ের সঙ্গে কোষ শুকিয়ে যাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য মানুষকে ভুল পথে নিয়ে যায়।
শেভিং সম্পর্কে এমনই কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য রয়েছে। যা শুনে আপনিও হয়তো মেনেও নিয়েছেন। শেভিং সম্পর্কে এই ভুল ধারণাগুলো জেনে নিন এবং সঠিক সুন্দরভাবে শেভিং করুন।
বিভ্রান্তিকর ধারণা থেকে শেভিংয়ের সময় যে ভুলগুলো করা হয় তা জানাব এই আয়োজনে_
- অনেকের ধারণা, যত বেশি শেভ করা হয় লোম তত বেশি বাড়তে থাকে। এটা ঠিক নয়। শেভিংয়ের সময় লোম শুধু কেটে নেওয়া হয়। কিন্তু ভেতরে এর বাকি অংশ রয়ে যায়। যা উপড়ে ফেলা হয় না। তাই এটি যথারীতি প্রাকৃতিক নিয়মেই বাড়তে থাকে।
- শুকনো ভাবে শেভ করা বেশি উপকার বলে মনে করেন অনেকে। এটা ঠিক নয়। শেভিংয়ের পর ত্বকের আদ্রতা হারিয়ে যায়। তাই শেভিংয়ের সময় সফট ক্রিম ব্যবহার করতে হয়। শেভিং ফোম এক্ষেত্রে বেশি উপযোগী। ভুলেও সাবান ব্যবহার করা উচিত হয়।
- শেভিংয়ের সময় সাধারণ রেজার ব্যবহার না করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেজার ব্যবহার করা ভালো। এতে ত্বক ভালো থাকে। অনেকের ধারণা, শেভিং করলেই ত্বক নষ্ট হয়। তা সঠিক নয়। বরং সাধারণ রেজার ব্যবহার করার ফলেই ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া শেভিংয়ের পর স্ক্রাবার দিয়ে চামড়া পরিষ্কার করে হালকা ক্রিম লাগিয়ে নিতে হবে।
- শেভিং করার সঠিক পদ্ধতি হলো হাত সোজা রেখে রেজারের মাথা হাতের পাতার দিকে থাকতে হবে। এতে ত্বকে আঁচড়ও লাগবে না, কেটেও যাবে না। শেভিংয়ের অংশে গরম পানি লাগাবেন না। এতে আদ্রতা ঠিক থাকবে।