শিট মাস্ক এখন অনেকেরই বিউটি রুটিনের অংশ। করোনার জেরে গত কয়েক মাস ধরে বাড়িতেই চলছে রূপচর্চা। তাই শিট মাস্ক যেনো আরও বন্ধু হয়ে উঠেছে সবার। নিজেকে প্যাম্পার করা বলুন বা ত্বক পরিচর্চা, শিট মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পরে অনায়াসে।
তবে ত্বকের ধরনভেদে আলাদা আলাদা শিট মাস্ক বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। শিট মাস্ক মূলত ত্বকের একটা স্মুদ, কোমল এফেক্ট আনে। কিন্তু এই মাস্ক ব্যবহারের আগে এর ব্যবহারবিধি জেনে নেওয়া জরুরি। অনেক সময় শিট মাস্ক ব্যবহারে আমরা কিছু ভুল করে বসি। যার কারণে ভালো ফলাফলের চেয়ে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি।
চলুন জেনে নেয়া যাক শিট মাস্ক ব্যবহারে যে ভুলগুলো কখনো করা যাবে না, সে সম্পর্কে-
- শিট মাস্ক ঘিরে সবচেয়ে বড় ভুল ধারণা বা মিথ যেটি রয়েছে, তা হল ভালো ফল পেতে অনেকক্ষণ পর্যন্ত ত্বকে শিট মাস্ক লাগিয়ে রাখতে হবে। আপনি ভুল করেও যদি এটা করেন, তাহলে আপনার ত্বকে নেগেটিভ এফেক্ট পড়বে। অর্থাৎ ত্বকের ক্ষতি হবে।
- বেশিরভাগ শিট মাস্কের প্যাকেটেই নিয়ম লেখা থাকে। প্রায় প্রতি ধরনের শিট মাস্কের ক্ষেত্রেই ত্বকে অ্যাপ্লাই করার সময়সীমা ১৫ থেকে ২০ মিনিট। তাই এই সময়টা মেনে চলুন।
- শিট মাস্ক আসলে ত্বকে রিভার্স এফেক্ট দেয়। মুখে শিট মাস্ক লাগানোর পর মনে হবে তা শুকিয়ে যাচ্ছে, তখনই তা খুলে ফেলার আদর্শ সময়। এক এক জনের ত্বক এক এক রকম। ফলে কারও মুখে শিট মাস্ক ১০ মিনিটেও শুকিয়ে যেতে পারে। কারও বা সেটাই ২০ মিনিট সময় লাগতে পারে।
- শিট মাস্ক খুলে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে মুখ ধুয়ে নিলে ভুল করবেন। শিট মাস্কের এফেক্ট মুখে শুকিয়ে নিন। মুখ পরে ধুয়ে নেবেন। আর যদি মুখে চটচটে ভাব থাকে তাহলে টিস্যু দিয়ে হালকা ট্যাপ করে অতিরিক্ত এসেন্স তুলে নিতে পারেন।
- সবশেষে অবশ্যই মনে রাখবেন, শিট মাস্ক ত্বকে একটা গ্লসি বা প্লামি এফেক্ট দেয়। ফলে যাদের শুষ্ক ত্বক, তাদের ক্ষেত্রে এই মাস্ক ত্বকে অতিরিক্ত ময়শ্চার যোগ করবে। ত্বকের আলাদা একটা গ্লো আসবে। কিন্তু যাদের অত্যন্ত তৈলাক্ত ত্বক তাদের মুখে সব সময়ই একটা ময়শ্চার ভাব থাকে। ফলে তাদের ক্ষেত্রে এই মাস্ক ততটা কার্যকরী নয়। তাই শিট মাস্ক কেনার আগে আপনার ত্বকের উপযুক্ততা যাচাই করুন।