টিভি খুললেই এখন তেলের দাম চড়া হওয়ার খবর পাওয়া যায়। পবিত্র রমজান চলে এসেছে। এই সময় তেলের ব্যবহার যেন আরও বেশি হয়। ইফতারে ভাজাভুজি খাওয়া, রান্নার নতুন পদ বানাতে গিয়ে তেলের ব্যবহার বেড়ে যায়। বেশি তেল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার দামও বেড়েছে। এই অবস্থায় রমজান শুরুর আগেই অল্প তেলে রান্না করার অভ্যাস করুন। রমজানে সারাদিনে রোজা রাখার পর তেলজাতীয় খাবার কম খেলে শরীরও সুস্থ থাকবে।
কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও অনেকে রান্নায় তেলের ব্যবহার কমাতে পারছেন না। বাঙালিরা কষানো রান্না বেশি খায়। তাই তেলের ব্যবহারও বেশি হয়। তাই কম তেলে রান্না করার কিছু পদ্ধতির কথা জানুন এই আয়োজনে।
- রান্নার তেল বোতল থেকে ঢেলে ব্যবহার করা হয়। বোতল বড় হলে বেশি তেল কড়াইতে পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এক্ষেত্রে অবশ্যই একটি চামচ ব্যবহার করুন। যা দিয়ে তেলে মেপে ব্যবহার করা যাবে।
- রান্নায় দস্তার বা লোহার কড়াই ব্যবহার করছেন? পাল্টে নিন এসব। ননস্টিক কড়াই ব্যবহার করুন। তেল খুব কম লাগবে। ননস্টিকি পাত্রে রান্না তলায়ও লেগে যাবে না।
- বেশি আঁচে রান্নার করার অভ্যাস রয়েছে আপনার? এই অভ্যাসে তেল বেশি লাগে। সময় নিয়ে অল্প আঁচে রান্না করুন। কড়াইতে অল্প তেল দিন। ঢেকে রান্না করুন। খাবারের স্বাদ ঠিক থাকবে।
- ইফতারের ভাজাভুজি করলেও পরিমিত তেল দিন। পুরো ডুবো তেলে ভাজবেন না। তাছাড়া মাছ ভেজে ফেলুন ননস্টিকতেই। অল্প তেলে রান্না হয়ে যাবে।
- সবসময় কষিয়ে রান্না করলে স্বাদের পরিবর্তন হয় না। মুরগি বা মাছ বেক করে খেতে পারেন। এই রান্নায় অল্প তেল ব্যবহার হবে। এমনকি মাখন ব্যবহার করেও বেক করা যাবে।
- তেলে সবজি কষিয়ে রান্না করেন স্বাদ বাড়ানোর জন্যে। এক্ষেত্রে তেল তো বেশি লাগবেই। বরং সবজি ভাপিয়ে নিন। তেলে অর্ধেকটা রান্না হয়েই যাবে। মাছ, ডিম, পনির কিংবা মুরগির বিভিন্ন পদ কম-বেশি ভাপেই রান্না করা যাবে। যা তেল বাঁচাবে এবং পুষ্টিগুণও ঠিক থাকবে।
- রান্নার আগে মেরিনেট করে রাখুন। এতে মাংস বা মাছে ভেতরে মশলা যাবে। রান্নার স্বাদও বাড়বে। অল্প তেলেই রান্নার স্বাদ উঠে আসবে।
- রান্নার সময় দই ব্যবহার করতে পারেন। দই দিয়ে আগে মেরিনেট করলে খাবারের স্বাদ বেড়ে যাবে। এতে মাংস দ্রুত সেদ্ধ হবে। রান্নায় তেলও কম লাগবে।