বাঙালির জীবনে বিজয়ের দিনটি অত্যন্ত বিশেষ। বিজয়ের আনন্দে সকাল থেকেই মেতে ওঠে সবাই। দিনটিতে ছুটি যাপনে মানুষ ঘরে-বাইরে সময় কাটিয়ে থাকে। তাই এই দিনে ঘরে অতিথির আগমনও ঘটে। কাজেই বিজয়ের এই দিনে আপনার রান্নায় আনতে পারেন বিশেষ কিছু। দুপুরের ভূরিভোজ থেকে শুরু করে মিষ্টি, সবই থাকবে আজকের আয়োজনে।
চলুন জেনে নেই বিজয়ের দুপুরে আপনার রান্নাঘরে রান্না হতে পারে এমন কয়েকটি রেসিপি-
মেথি পোলাও
যা যা লাগবে
- বাসমতি চাল দুই কাপ
- ঘি অথবা তেল-দুই টেবিল চামচ
- জিরা-আধা টেবিল চামচ
- কাঁচামরিচ কুচি-দুই টেবিল চামচ
- টমেটো পেস্ট-২টা,
- মেথি-এক টেবিল চামচ
- পুদিনা পাতা
- ধনেপাতা
- রসুনের কোয়া-চারটি
- হলুদের গুঁড়ো-এক টেবিল চামচ
- ধনে-জিরা গুঁড়া ও লবণ স্বাদমতো
যেভাবে বানাবেন
প্রথমে চাল ভালো করে ধুয়ে ২০ মিনিটের জন্য পানি ঝরিয়ে রাখুন। একটি প্যানে ঘি দিয়ে তাতে রসুন কুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন। এরপর এতে মেথি, ধনে এবং পুদিনা পাতা দিয়ে পাঁচ মিনিট ভাজুন। তারপর টমেটো পেস্ট দিয়ে মাঝারি আঁচে দুই মিনিট কষিয়ে নিন।
এবার চাল দিয়ে দুই মিনিট ভেজে চার কাপ পানি, লবণ এবং বাকি মসলা দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। চাল সিদ্ধ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। ধনেপাতা দিয়ে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন দারুণ সুস্বাদু মেথি পোলাও।
হাঁসের মাংসের কালাভুনা
যা যা লাগবে
- হাঁস- একটি (১ কেজি বা বেশি)
- পেঁয়াজকুচি- ১ কাপের বেশি
- ধনেপাতা বাটা- ১ টেবিল-চামচ
- টমেটো পিউরি- ১ টেবিল-চামচ
- দারুচিনি- ৩/৪ টুকরা
- আদাবাটা- ২ টেবিল-চামচ
- রসুনবাটা- দেড় টেবিল-চামচ
- মরিচগুঁড়া- ১ চা-চামচ
- হলুদগুঁড়া- ১ চা-চামচ
- লবণ- পরিমাণমতো
- তেল- আধা কাপের কম
- পানি- প্রয়োজনমতো
বিশেষ মসলা
- জয়ত্রি সামান্য
- জিরা দুই চিমটি
- এলাচ মাঝারি ৪-৫টি
- লবঙ্গ ৮-৯টি
- মাঝারি শুকনামরিচ-৩-৪টি
- মেথি-২ চিমটি
- বড় একটা তেজপাতা
- পাঁচফোড়ন-২ চিমটি
- গোলমরিচগুঁড়া-২ চিমটি (এই মসলাগুলো বেটে গুঁড়া করে নিতে হবে।)
যেভাবে করবেন
প্রথমে হাঁস টুকরা করে কেটে ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে প্রথমে পেঁয়াজকুচি সামান্য লবণ এবং দারুচিনি দিয়ে ভাজুন। এই সময় চুলা মাঝারি আঁচে রাখবেন। একপর্যায়ে পেঁয়াজকুচি একটু হলদে হয়ে এলে আদা ও রসুনবাটা দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে ভাজুন।
এবার লালমরিচগুঁড়া এবং হলুদগুঁড়া দিয়ে দিন। সঙ্গে টমেটো পিউরি আর ধনেপাতাবাটা দিন। এবার এককাপ পানি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এখন ভালোমতো মিশ্রণটি কষিয়ে নিন। তেল ওপরে উঠে এলে ধুয়ে রাখা হাঁসের মাংস দিয়ে দিন। এবার মাংস কষাতে থাকুন।
মাংস নরম না হলে আরও এক কাপ পানি দিতে পারেন। চুলা মাঝারি আঁচে রেখে ঢাকনা দিয়ে দিন। তবে মাঝে মাঝে নেড়ে দেবেন। এবার এতে গুঁড়ো করে রাখা মসলা মিক্স দিয়ে দিন। ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে আবার ঢেকে দিন। ব্যস, মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন হাসের মাংসের কালাভুনা।
গুড়ের সন্দেশ
- যা যা লাগবে
- ছানা-আধা কেজি
- খেজুরের গুড়-আধা কাপ
- চিনি-আধা কাপ
- পেস্তাবাদাম ও কাজুবাদাম পরিমাণমতো
যেভাবে বানাবেন
প্রথমে গুড় ভেঙে নিয়ে তার সঙ্গে ছানা হালকা করে মাখিয়ে নিন। তারপর কড়াইয়ে গুড় জ্বাল দিয়ে একটু নরম হলে ছানা দিয়ে দিন। ছানা মিনিটখানেক নেড়ে চিনি দিয়ে মৃদু আঁচে ঘন ঘন নাড়তে থাকুন।
ছানা চটচটে হলে একটি পাত্রে নামিয়ে রাখুন। তারপর ছানা ঠান্ডা হলে ভালো করে মথে নিতে হবে। এবার মসৃণ হয়ে এলে ১৬ ভাগ করে, সন্দেশের ছাঁচে চেপে পাত্র সাজিয়ে রাখতে হবে। পেস্তা ও কাজুবাদাম দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।