পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে লিপস্টিক পড়লেই কী হয়! আধুনিক ফ্যাশন বলছে উল্টো কথা। পোশাক নয়, ত্বক আর ঠোঁটের ধরন অনুযায়ী বেছে নিতে হবে লিপস্টিকের শেড। ফ্যাশন জগতে এখন নুড লিপস্টিকের বেশ সমারোহ। মানে নুড লিপস্টিকে বোল্ড লুকে দেখা যায় ফ্যাশন ফিয়েস্তাদের। র্যাম্পের মঞ্চ হোক কিংবা পার্টিতে যারা ফ্যাশনপ্রেমি তারা পোশাকের সঙ্গে নুড লিপস্টিকই বেশি দেয়।
নুড লিপস্টিকে অনেকের আবার আপত্তিও রয়েছে। কারো কারো মনে হয়, নুড লিপস্টিক মানেই ম্যাড়ম্যাড়ে, প্রাণহীন, নির্জীব একটা রং। এই লিপস্টিক এতটাই হালকা যে ত্বকের সঙ্গে মিশে যায়। আদৌ লিপস্টিক লাগানো হয়েছে কিনা তাও বোঝা দায়। কিন্তু পারফেক্ট নুড লিপস্টিক বাছাই করলে কিন্তু এমনটা হয় না। সঠিক নুড লিপস্টিক খুঁজে বের করা মস্ত ঝামেলা। কিন্তু পারফেক্ট গাইডেন্সে আপনি পারফেক্ট নুড লিপস্টিকটি বেছে নিতে পারবেন।
নুড শেডের লিপস্টিক কেনার আগে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। লিপস্টিক কেনার আগেই প্রথমে নিজের স্কিন টোন বুঝুন। মানে স্কিন টোন বা ত্বকের ধরন বুঝেই লিপস্টিক বাছাই করবেন। তাতেই ঝামেলা অর্ধেকটা শেষ। বাকিটা পছন্দ অনুযায়ী কিনে নেবেন। ত্বকের ধরন বুঝে যারা লিপস্টিক কেনায় হিমশিম খাচ্ছেন তাদের জন্য় আরও কিছু ধারণা থাকছে আজকের আয়োজনে_
যাদের স্কিন টোন ব্রাইট বা অনেক উজ্জ্বল তারা আল্টিমেট লং-স্টে ম্যাট লিপস্টিক রেঞ্জের গডেস শেডটি বেছে নিতে পারেন। মভের উপরে এই নুড শেডটি যে-কোনোও লাইট স্কিন টোনের সঙ্গে দারুণ দেখাবে। ডিউই মেকআপ লুক বা নো-মেকআপ লুকের জন্য পারফেক্ট হবে এটি।
যাদের ত্বকের রং হলদে ফরসা ধরনের তারা বেছে নিন হাই-শাইন লিপস্টিক রেঞ্জের বেয়ারলি নুড শেডটি। গোলাপি ঘেঁষা নুড শেডও বেছে নিতে পারেন। একটু বাদামী ঘেঁষা নুড পছন্দ করলে ক্যারামেল কিস শেডটি লাগাতে পারেন।
উজ্জল শ্যামবর্ণ যাদের ত্বকের ধরন তারাও হাই-শাইন লিপস্টিক রেঞ্জের ইংলিশ রোজ অথবা সানসেট সিয়ানা শেড দুটি কিনতে পারেন। প্রথমটি একটু গোলাপি ও পার্পল ঘেঁষা এবং অন্য শেডটি পিচ রঙা নুড। যা আপনাকে বোল্ড লুক দিবে।
আপনি যদি সাদাটে স্কিন টোনের অধিকারিণী হোন তবে মাইগ্ল্যামের এল আই টি ক্রিমি ম্যাট লিপস্টিক রেঞ্জের ‘বেলিনি’ শেডটি কিনে নিতে পারেন। যাদের ত্বকের ধরণ আরো একটু গাঢ় তারা মাইগ্ল্যামের রোজ-নুড শেডটি ব্যবহার করুন। আর যারা একটু কৃষ্ণবর্ণ তাদের ঠোঁটে মাইগ্ল্যামের ‘দ্য গুড ওয়াইফ’ শেডটি বেশ মানাবে।