ভোটের মাঠে বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারাতে কত প্রতিশ্রুতি দেন রাজনীতিবিদরা। দেশ ও জাতির উন্নয়নের লক্ষ্যে নানা প্রতিশ্রুতি উঠে আসে নির্বাচনী ইশতেহারে। অনেক নেতাই ভোটে জেতার উদ্দেশ্যে উদ্ভট প্রতিশ্রুতিও দেন। যেমনটা দিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী লি জায়ে-মুং।
সম্প্রতি ভোটের মাঠে জয়ী হলে দক্ষিণ কোরিয়ার বাসিন্দাদের টাকমাথায় চুল গজানোর খরচ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই নেতা। ব্যতিক্রমী এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েই আলোচনায় উঠে এসেছেন তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টি অব কোরিয়া (ডিপিকে) থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন লি জায়ে-মুং। ২০২২ সালের মার্চেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই চলছে প্রচারণা।
দেশটির সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ মাথায় চুল গজানোর চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যান। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই নির্বাচনী ইশতেহারে এমন প্রতিশ্রুতি দিলে স্থানীয়রা খুশি হবে বলে মনে করেছেন লি জায়ে-মুং।
নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে লি জায়ে-মুং জানান, নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি দেশের জনগণের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যবিমা চালু করবেন। যেখানে টাক মাথায় চুল গজানোর চিকিৎসার খরচ জোগানো হবে। মানে ওই স্বাস্থ্যবিমার আওতায় দক্ষিণ কোরিয়ার টাকমাথার ব্যক্তিদের চুল গজানোর চিকিৎসার খরচ সরকারি তহবিল থেকে বহন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
লি জায়ে-মুং বলেন, ‘প্রায় এক কোটি মানুষ চুল ঝরে পড়ার সমস্যায় ভুগছেন। চুল গজানোর চিকিৎসায় খরচ অনেক বেশি। বিদেশ থেকে ওষুধও আনতে হয়। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেকেই ওই চিকিৎসা নিতে পারেন না। দেশবাসীর জন্য় সেই সুযোগ করে দিতে চাই।‘
লি জায়ে-মুংয়ের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অনেকে সমালোচনাও করেছেন। অনেকে আবার বিষয়টিতে খুশিও হয়েছেন। চুল গজানোর চিকিৎসায় আগ্রহী স্থানীয় এক বাসিন্দা বলছেন, ‘এই সুযোগ পেলে তো উপকার হবে। মাথায় চুল গজানোর জন্য ছয় মাসের চিকিৎসা করতে হয়। ভালো মানের শ্যাম্পু ও চুলের বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী খাবার কিনে খেতে হয়। প্রতি মাসে এর জন্য় ৩ হাজার ডলারের বেশিও খরচ হয়। সরকার এই খরচ বহন করলে ভালোই হবে।‘
সূত্র: সিএনএন