শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আচার আর কাসুন্দির কদর বেড়ে যায়। বয়ামে আচার শেষ হওয়ার আগেই আবারও বানাতে হবে। আচার মানেই জলপাই, আম, তেঁতুল, আমলকী এসব তো থাকবেই। ঋতু পাল্টাটে দেরি হয় না, আচার বানানোর প্রস্তুতি শুরু। মুখে পানি চলে আসে, জলপাইয়ের নাম শুনলেই। জলপাইয়ে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে, যা দেহের ক্যানসারের জীবাণুকে ধ্বংস করে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে বাড়ায় দ্বিগুণ পরিমাণে।
টকজাতীয় এ ফলটি দিয়ে মজাদার আচার তৈরি করেন অনেকে। তবে ঝক্কি ঝামেলার কারণে অনেকেই আচার বানাতে চান না। তাদের জন্য জলপাই আচারের সহজ একটি রেসিপি জানাব এই আয়োজনে_
জলপাইয়ের মাখা আচার
যা যা লাগবে
- জলপাই – ৫০০ গ্রাম
- সর্ষের তেল – ৩/৪ কাপ
- লবণ – পরিমাণমতো
- চিনি – ৪০০ গ্রাম
- হলুদগুঁড়ো – ১ চা-চামচ
- সাদা ভিনিগার – ২ চা-চামচ
- শুকনো খোলায় ভাজা শুকনো লঙ্কাগুঁড়ো – ১ টেবিলচামচ
- সর্ষে গুঁড়া – ১ ১/২ টেবিলচামচ
যেভাবে বানাবেন
জলপাইগুলোর মুখ কেটে নিন। লবণ-হলুদ মাখিয়ে রোদে রাখুন দুই দিন। কিছুটা নরম হবে। মজে গেলে হাত দিয়ে চটকে নিন। এরপর এর সঙ্গে বাকি সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে মেখে রাখুন। মাখা জলপাই কোনো কাচের ছড়ানো পাত্রে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। রোদে দিন। টানা ৩-৪ দিন রোদ রাখুন।
চিনি গলে যাওয়া পর্যন্ত রোদে দিতে হবে। সেই সঙ্গে জলপাইয়ের রঙও পাল্টে লালচে হয়ে যাবে। কাচের পাত্রের মুখটি ভালোভাবে বন্ধ রাখুন।তৈরি হয়ে যাবে জলপাইয়ের মাখা আচার। এই পদ্ধতিতে আচার খুব বেশিদিন রাখা যায় না। অল্প করে বানিয়ে রাখুন। খিচুড়ি কিংবা পোলাওয়ের সঙ্গে খেতে বেশ লাগবে এই আচার।