• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিলাবৃষ্টি কেন হয়? যেভাবে নিরাপদে থাকবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম
শিলাবৃষ্টি কেন হয়? যেভাবে নিরাপদে থাকবেন
ছবি: সংগৃহীত

ছোটবেলায় বৃষ্টিতে ভিজে শীলা কুড়ানোর অভিজ্ঞতা হয়তো অনেকেরই আছে। ছাদে কিংবা মাঠের খোলা স্থানে ঝুম বৃষ্টিতে ছোটাছুটি করে শীলাবৃষ্টিতে শীল কুড়ানো যেন মধুর স্মৃতি। বাংলাদেশে তো বৃষ্টি অনেক হয়। কিন্তু শীলাবৃষ্টির দেখা মেলে মাঝে মাঝে। সাধারণত বৈশাখ মাসে শুরুতেই হয় শীলাবৃষ্টি।

প্রতিবছর বৈশাখ মাসে বাংলাদেশে প্রচণ্ড গরম পড়ে। ওই সময় বাতাসে ঊর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি হয়। যা থেকে শুরু হয় কালবৈশাখী। এই কালবৈশাখীর সঙ্গেই ঝড়ে পড়ে শীলা। যার নাম হচ্ছে শিলাবৃষ্টি।

শৈশবের মধুর স্মৃতির এই শীলাবৃষ্টি কেন হয় তা জানেন? শীলাবৃষ্টি হওয়ার পেছনে বিশেষ কারণও রয়েছে। সাধারণত চৈত্র মাসের শেষে এবং বৈশাখ মাসের শুরুতে দক্ষিণ-পশ্চিমা মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে স্বল্পস্থায়ী প্রবল ঝড় হয়। যা হচ্ছে কালবৈশাখী। এই সময় দেশের কোনো স্থানের আবহাওয়া হঠাৎ খুব উত্তপ্ত হতে পারে। যা ফলে সেখানকার বাতাস হালকা হয়ে দ্রুত ওপরের দিকে উঠে যায়। এটি বাতাসের ঊর্ধ্বমুখী চাপ। ঊর্ধ্বাকাশের ঠান্ডা আবহাওয়ার সংস্পর্শে আসে সেই বাতাস। এরপর ঠান্ডা হয়ে ঝোড়ো মেঘে পরিণত হয়। যা থেকে শুরু হয় ঝড়। এক সময় ঊর্ধ্বাকাশে বাতাসের জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়। এরপর পালকের মতো হালকা তুষারের মতো হয়। পরবর্তী সময়ে ঘন পানির বিন্দুতে পরিণত হয়। যা বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পড়ে।

বৃষ্টির ফোঁটা পড়ার সময় প্রায়ই মাঝপথে বাতাসের ঊর্ধ্বমুখী চাপের মধ্যে পড়ে যায়। এতে বৃষ্টির ফোঁটা নিচে নামতে নামতে এর কিছু অংশ আবারও উপরে উঠে যায়। সেগুলো আরও ঠান্ডা হতে থাকে। ঘনীভূত  পানির ফোঁটাগুলো আরও ভারী হয়ে আবারও নিচে নামতে থাকে। নামার সময় আবারও গরম বাতাসের ঊর্ধ্বমুখী চাপে পড়ে এর কিছু অংশ উপরে উঠতে থাকে। এ রকম কয়েকবার ওঠা-নামা করতে থাকলেই পানির ফোঁটাগুলোর কিছু অংশ ছোট ছোট বরফখণ্ডে পরিণত হয়। যা বেশি ভারী হয়ে যায়। যার ফলে আর ওপরে উঠতে পারে না। আর শীলা রূপে বৃষ্টির সঙ্গে নিচে নেমে আসে। এটাই শিলাবৃষ্টি।

সাধারণ প্রচণ্ড গরম পড়লেই শিলাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। বৈশাখ মাসে প্রচণ্ড গরম থাকে। তাই প্রায়ই কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টির দেখা মেলে। 

কালবৈশাখী ঝড় বা শীলাবৃষ্টির সময় নিরাপদে থাকতে হবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখলেই নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনে ঘরেই থাকুন। বৃষ্টিতে ভিজতে যাবেন না। এতে যেকোনো ধরণের দুর্ঘটনা হতে পারে। যদি শীলাবৃষ্টির সময় গাড়িতে থাকেন তবে রাস্তার পাশেই নিরাপদ কোথাও থামিয়ে রাখুন। ঘরের দরজা জানালা বন্ধ রাখুন। বৃষ্টির সময় শীলার আকার বড়ও হতে পারে আবার ছোটও হতে পারে। তাই আবেগের বশে শীলা কুড়াতে যাবেন না। এতে মাথায় আঘাত পেতে পারেন। নিজেও নিরাপদে থাকুন, বাড়ির অন্যদেরকেও সতর্ক করুন।

Link copied!