বড়দিন মানেই কেকের আয়োজন। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন। তাই ২৪ ডিসেম্বর আগের রাতেই ধুম পড়ে কেক বানানোর। খাবার দোকানে হরেক রকম কেক পাওয়া যায় এই দিনে। তবে বাড়িতে কেক বানানোর আয়োজনেরও কমতি হয় না। কারণ ক্রিসমাস উদযাপনে কেক কাটা অন্যতম অনুষঙ্গ। বলা যায়, ক্রিসমাসের উত্সবের মূল আকর্ষণ কেক কাটা। কেক কাটার মধ্য দিয়েই শুরু হয় পুরো আয়োজন। গির্জায় প্রার্থনা করে এবং একে অপরকে কেক খাওয়ানো হয়।
কেক কাটার বড়দিনের একটি প্রথা। জানেন কি, এই প্রথা কবে, কোথা থেকে এসেছে। কখন প্রথম কেক কাটা হয়েছিল? ক্রিসমাসে কেক কাটার রীতির পেছনেও রয়েছে গল্প। চলুন জেনে আসি কীভাবে এলো কেক কাটা রীতি।
ক্রিসমাস পালনের প্রথম দিকে ছিল না কেক কাটার প্রথা। কেক কাটার ধারণাটি আসে ১৬ শতকে। ওই সময় রুটি এবং সবজি মিশিয়ে একটি থালি তৈরি হতো। একে বলা হতো বরই পুডিং। ১৬ শতকে পুডিংয়ের পরিবর্তে গমের আটা ব্যবহার করা হতো। ডিম, মাখন এবং সিদ্ধ বরই ফল যোগ করে বানাতো হতো কেক। এই খাবার তৈরি হতো চুলায়। এরপরই ধীরে ধীরে এটি কেকের রূপ নেয়। যা ক্রিসমাসের সঙ্গে জড়িয়ে গেল। ক্রিসমাসের আয়োজনের মূল খাবার হয়ে উঠলো এই কেক।
তবে ক্রিসমাসের দিনটির প্রায় এক মাস আগ থেকেই কেক বানানো শুরু হয়। ধীরে ধীরে কেকের চাহিদা বাড়তে থাকে। সবার প্রিয় হয়ে উঠে ফ্রুট কেক। ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে বানানো হতো এই কেক। এছাড়াও ক্রিসমাসের কেককে ছত্রাক থেকে রক্ষা করতে ব্যবহার করা হতো কিশমিশ। এই কিশমিশ ব্যবহারের কয়েক মাস আগে থেকেই ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হতো। এরপর তা কেকে ব্যবহার করা হয়। যা কেকের স্বাদও বাড়িয়ে দেয়।
এভাবেই চালু হয় কেক বানানো আর কাটার রীতি। বর্তমান সময়ে এই প্রথা মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।