প্রত্যেকটি সম্পর্কের মধ্যে ঝগড়া, মনোমালিন্য থাকে। এটাই স্বাভাবিক বিষয়। তবে ঝগড়া কি শুধু সম্পর্ক নষ্ট করে। কিছু ক্ষেতে কিন্তু তা নয়। ঝগড়াও কখনো কখনো সম্পর্ককে মজবুত করে। গবেষণা বলছে, রাগ পুষে না রেখে বরং মন খুলে ঝগড়া করে সম্পর্কের যত্ন নিন। ছোট ছোট ঝগড়া অশান্তিগুলোকে বড় করে দেখবেন না। অন্যদিকে ঝগড়া না করলে ভেতরে জমা কথা এক সময় মানসিক রোগের কারণ হতে পারে। এ ছাড়াও ঝগড়া করলেও উপকারও হয়। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
- ঝগড়া করলে মনের মধ্যে পুষে রাখা অভিমান দূর হয়। সঙ্গীর যে কোনো কাজ খারাপ লাগতেই পারে। তবে সেই খারাপ লাগা নিজের মধ্যে পুষে না রেখে মুখের ওপর বলে দিন। দেখবেন সব ধরনের ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটবে।
- মুষলধারে বৃষ্টি শেষে যেমন আকাশ পরিষ্কার হয়ে যায়, তেমনই দীর্ঘ ঝগড়ার শেষে মান-অভিমান দুজনকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে। এতে সম্পর্ক আরও মজবুত ও দৃঢ় হয়।
- বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দাম্পত্যে ঝগড়া হতে পারে। এর ফলে বিশ্বাসের ভিত আরও মজবুত হয়। কারণ ঝগড়ার মাধ্যমে মনের লুকানো ক্ষোভ ও অভিমান প্রকাশ করার সযোগ হয়ে যায়। এর ফলে দুজনের বিশ্বাসের বন্ধনটা অনেক দৃঢ় হয়।
- অনেকেই সঙ্গীর প্রতি সন্দেহপ্রবণ হয়ে ঝগড়া কিংবা অশান্তি করেন। এক্ষেত্রে সঙ্গীও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করে, সব মিলিয়ে দুজনের মধ্যকার অবিশ্বাস ও সন্দেহ দূর হয়ে যায় মুহূর্তেই।
- ঝগড়ায় মন হালকা হয়, এমনটিই বলছেন মনোবিদরা। বর্তমানের যান্ত্রিক জীবনে সবাই ব্যস্ত। একে অপরকে যথেষ্ট সময় দিতে পারেন না অনেক দম্পতিই। তাই মাঝে মাঝে ভুল বোঝাবুঝির কারণে ঝগড়া লেগে যায়। আর এই ঝগড়াই সম্পর্ককে মজবুত করে।
- দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া দুজনকে আরও ধৈর্যশীল করে তোলে। অনেকক্ষণ ঝগড়ার পর আপনার হয়তো ক্লান্ত লাগতে পারে কিংবা অশান্তি বাড়াতে না চাইলে চুপ হয়ে যেতে পারেন। এর অর্থ হলো আপনি ধৈর্য্যধারণ করছেন। আপনার এমন মনোভাব দেখে একসময় সঙ্গীও চুপ হয়ে যাবেন। এ কারণে ঝগড়া মানুষকে ধৈর্যশীল করে তোলে।
আপনার মতামত লিখুন :