• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২, ২০ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

ডিভোর্সের আগে কী করবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৩, ১২:৩২ পিএম
ডিভোর্সের আগে কী করবেন

সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে উভয় পক্ষের সমান প্রচেষ্টা থাকা আবশ্যক। নয়তো একজনের পক্ষে কোনো সম্পর্ক টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। এই কারণে অনেক ক্ষেত্রে ডিভোর্স এর মতো বিষয় দাঁড়িয়ে যায় দু’জনের মাঝখানে। মধুর সম্পর্কটি একবার তেতো হয়ে ডিভোর্সে যাওয়া মানেই পৃথিবীর বাকি পথ আলাদা। তবে হয়তো নিজের নেয়া সিদ্ধান্তের জন্য একটা সময় গিয়ে আফসোস হতে পারে। মনে হতে পারে, না ছেড়ে এলেও পারতাম। আরও কিছুটা  সহনশীল হলেই সম্পর্কটি হয়তো টিকে যেতো। তাই ডিভোর্সের মতো গুরুতর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অনেকবার ভেবে দেখুন। যেমন—

সমস্যা সমাধানের চেষ্টা
পছন্দের ভিন্নতার কারণেই হয়তো দুজনের একসঙ্গে থাকা সম্ভব হয় না। কিন্তু বিচ্ছেদে যাওয়ার আগে আরও একবার ভেবে দেখুন দুজনের মধ্যে এখনো ধরে রাখার মতো কোনো কারণ অবশিষ্ট রয়েছে কিনা। কখনো দু’জনে মুখোমুখি বসে সমস্যাগুলো নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা করেছেন কিনা। যদি তা না হয়, তবে ডিভোর্সের আগে আরেকবার ভাবুন। ছোট ছোট ছাড় একটি সম্পর্ককে আবারও প্রাণবন্ত করে তুলতে পারে।

ডিভোর্সের পরের জীবন
হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিচ্ছেদ করে ফেলবেন না। ডিভোর্সের পরে কী হবে সেকথাও ভেবে দেখুন। আপনি একা কতটা সামলে নিতে পারবেন, জীবনে চলার পথে মুখ থুবড়ে পড়বেন কিনা। ডিভোর্সের কারণে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যেও যথেষ্ট প্রভাব পড়বে। সেসব সামলে নিতে পারবেন তো? সবদিক ভেবে তবেই সিদ্ধান্ত নিন।

সন্তানের কথা ভাবুন
সন্তান না থাকলে ভিন্ন কথা, যদি সন্তান থাকে সবার আগে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। আপনাদের বিচ্ছেদের কারণে সন্তানের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। তাই সন্তান থাকলে দু’জনকে আরও বেশি দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। শুধু নিজেদের কথা না ভেবে সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবনের কথাও ভাবতে হবে। একটি ভেঙে যাওয়া পরিবারের সন্তান সাধারণত সুষ্ঠু পরিবেশ পেয়ে বড় হতে পারে না। তাই সন্তান থাকলে ডিভোর্সের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালো করে ভেবে দেখুন।

কোনো অনুভূতি কী নেই
সঙ্গীর প্রতি আপনার সত্যিই কোনো অনুভূতি আছে কিনা নিজেকে জিজ্ঞেস করুন। একসঙ্গে থাকতে গিয়ে অনেক সময় একঘেয়েমি চলে আসতে পারে। আপনাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটছে কিনা ভালো করে ভেবে দেখুন। যদি সামান্য ভালোবাসাও বেঁচে থাকে, সেই অজুহাতে ফিরে আসুন। সম্পর্কটি টিকে থাকুক। আর যদি কোনো ভালোবাসা না থাকে তবে নতুন পথে হাঁটাই উত্তম।

সঠিক সিদ্ধান্ত

অনেক সময় আমরা জীবন নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। তখন প্রয়োজন হয় এমন কারও পরামর্শের, যিনি অভিজ্ঞ এবং জ্ঞানী। সঠিক পরামর্শ দিয়ে আপনাকে পথ দেখাতে পারবেন, এমন কারও দ্বারস্থ হোন। আপনাদের সমস্যাগুলো খুলে বলুন। তিনি আপনাকে এক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবেন। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সমস্যাগুলোর সমাধান করে সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়।

Link copied!