সঠিকভাবে জ্বর মাপার নিয়ম কী

জ্বর মাপার জন্য বাড়িতে একটা থার্মোমিটার অবশ্যই রাখা উচিত। জ্বরের মাত্রা, জ্বর কখন আসছে, কখন যাচ্ছে এসবের জন্য বাইরে ছুটাছুটি না করে ঘরেই রেখে দেয়া যায় থার্মোমিটার। তবে মুশকিল হলো ঘরে থাকলেও অনেকেরই আবার জ্বর মাপার নিয়ম জানা থাকে না।তাই আজ জেনে নেওয়া যাক কীভাবে জ্বর মাপাতে হয়-

মুখে জ্বর মাপার ক্ষেত্রে
খাবার, পানি বা পানীয় খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পর জ্বর মাপতে হবে। জিবের নিচে থার্মোমিটার রেখে মুখ বন্ধ করে পুরো এক মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। রোগী যদি মুখ দিয়ে শ্বাস নেন, তাহলে মুখে জ্বর মাপতে অসুবিধা হতে পারে। শিশু এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রেও তাই। এসব ক্ষেত্রে ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

শিশুর জ্বর মাপা 
তিন বছরের কম বয়সীদের পায়ুপথে তাপমাত্রা দেখতে হবে। এ ক্ষেত্রে জ্বর মাপার আগে থার্মোমিটারের সামনের অংশে পেট্রোলিয়াম জেলি মাখিয়ে নিতে হবে। শিশুকে চিত করে শুইয়ে পা দুটি তুলে থার্মোমিটারের আধা ইঞ্চি বা এক ইঞ্চি পরিমাণ পায়ুপথের ভেতরে ঢুকিয়ে মাপতে হবে। ছয় মাসের কম বয়সী শিশুর জন্য আধা ইঞ্চিই যথেষ্ট। এক মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। চিত অবস্থায় অসুবিধা হলে উপুড় করেও শোয়াতে পারেন।

বগলে জ্বর মাপা
বগলে জ্বর মাপলে খুব একটা নিখুঁত ফলাফল পাওয়া যায় না। তবে অন্য স্থানে তাপমাত্রা মাপতে অস্বস্তি হলে বগলে মাপা ছাড়া উপায় নেই। এ ক্ষেত্রে বগলে থার্মোমিটার ভালোভাবে চেপে রাখতে হবে পুরো দুই মিনিট। খেয়াল রাখতে হবে, থার্মোমিটারের সামনের অংশ যেন ত্বকের সংস্পর্শেই থাকে, কাপড়ে লেগে না যায়। তা ছাড়া বগলে থার্মোমিটার দেওয়ার আগে বগল মুছে নেওয়া উচিত, যেন ঘাম না থাকে।

থার্মোমিটার ব্যবহার

• থার্মোমিটার ব্যবহারের আগে সাবান এবং কুসুম গরম পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। তারপরে থার্মোমিটারটি অ্যালকোহল প্যাড দিয়ে মুছে নিন।
• ডিজিটাল থার্মোমিটারের ব্যবহার-নির্দেশিকা দেখে সময় ও অন্যান্য বিষয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করুন।
• মুখ, বগল, পায়ুপথ যে অংশেই তাপমাত্রা মাপুন না কেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই আলাদা আলাদা থার্মোমিটার ব্যবহার করুন। কোন থার্মোমিটার দিয়ে কোন অংশের তাপমাত্রা দেখা হয়, সেটির কোনো চিহ্ন দিয়ে রাখুন, যেন ভুল না হয়।
• কানে বা কপালে জ্বর মাপার উপযোগী থার্মোমিটারও পাওয়া যায়। প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নির্দেশিকা অনুযায়ী এগুলো ব্যবহার করুন।