দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে দুই পক্ষেরই তাই কিছু বিষয়ে যত্নবান হওয়া উচিত। কারণ দুজনেরই আলাদা আলাদা মানুষ। চলুন জেনে নেবো প্রেমের সম্পর্কের ভেতর কোন কোন বিষয়গুলো মেনে চলা উচিত-
যোগাযোগ
যোগাযোগ হচ্ছে প্রতিটি সম্পর্কের মূল ভিত্তি। আর প্রেমের ক্ষেত্রেতো এটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রেমে দীর্ঘ সময় যোগাযোগহীন থাকা যাবে না। আবার তাই বলে অতিরিক্ত মাত্রায় যোগাযোগও অনেক সময় বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। মোট কথা দুজন দুজনের সঙ্গে যুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
আবেগের বশে
প্রেম মানেই আবেগ। তবে সেই জোয়ারে ভেসে চোখ কান বন্ধ করে রাখলে বিপদ। একটা লম্বা সময় সম্পর্ক ধরে রাখতে চাইলে আপনাকে আবেগে কিছুটা হলেও লাগাম টানতে হবে। সব বিষয় অন্ধের মতো বিশ্বাস না করে, দুজনই বাস্তবতা মেনে চলার চেষ্টা করুন।
নিষেধে উল্টো ফল
নিষেধাজ্ঞা প্রেমের ক্ষেত্রে উল্টো ফল বয়ে আনতে পারে। যখনই সঙ্গীকে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেবেন আর সেটা মেনে চলতে জোর করবেন, তখনই সম্পর্কে দেখা দেবে দূরত্ব। তাই যার যার স্বাধীনতা মেনে চলুন। কোনো বিষয় ভালো না লাগলে খোলামেলা আলোচনা করুন। এতে নিজেদের মধ্যকার সম্পর্কটা আরও সহজ হবে।
সঠিক আলোচনা
ভালো-মন্দ মিলেই মানুষ। কারও সঙ্গে যখন প্রেমের সম্পর্কে জড়াবেন, তার ভালো-মন্দ দুটি দিক নিয়েই আলোচনা করতে পারেন। তবে সেটা কীভাবে তার সামনে উপস্থাপন করছেন, সেটাও জরুরি। সঙ্গীর কোনো খারাপ দিক যদি আলোচনার মাধ্যমে শোধরাতে চান, তাহলে সেটা তাকে এমনভাবে বলুন, যাতে সে অপমানিত বোধ না করে। গঠনমূলক আলোচনা প্রেমে খুবই জরুরি।
গুরুত্ব দিতে হবে
প্রেমে কর্তৃত্ব দেখানো যাবে না। আপনি যখন আরেকটা মানুষের সঙ্গে প্রেমে থাকবেন, তখন তার বিষয়গুলোকেও গুরুত্ব দিতে হবে। সবসময় আপনার কথামতো সব হবে এমনটা আশা করা ভুল । প্রেমের পর সঙ্গীর প্রতিটি কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনুন, আলোচনায় অংশ নিন। আপনার প্রেমিকা বা প্রেমিক হয়তো কোনো একটা ছোট্ট ফুল নিয়ে এল, সেটাকেও নোটিশ করুন। প্রশংসা করুন। প্রেম মানেই আপনি সঙ্গীকে আটকে ফেলছেন, এমন যেন না হয়। দুজনের জীবনের বাইরেও আলাদা সত্তা আছে, সেটা ভুলে গেলে চলবে না। ব্যক্তিগত রুচি, পছন্দ-অপছন্দের কথা গুরুত্ব দিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :