• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

স্যুট পরার কয়েকটি নিয়ম


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২৩, ০৭:৫২ পিএম
স্যুট পরার কয়েকটি নিয়ম
স্যুট পরলে নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় । ছবি : সংগৃহীত

ফ্যাশন দুনিয়ায় স্যুট হলো সবচেয়ে প্রভাবশালী ফরমাল পোশাক। বড় কোনও অনুষ্ঠানে অথবা অফিশিয়াল কারণে স্যুট পরতে হয় মাঝে মাঝে। এক সময় শুধুমাত্র ছেলেরাই এই পোশাক পরতো। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাশনেও এসেছে পরিবর্তন। 

প্রয়োজন কিংবা শখ যাই হোক না ছেলে মেয়ে সবাই-ই পরছেন স্যুট, ব্লেজার। আসলে স্যুট বেশ স্মার্ট লুক এনে দেয়। এবার বড়দিনের সঙ্গে যুক্ত হলো শীত। তাই এই মৌসুমে চাইলে আপনিও স্যুট-টাই পোশাকে সাজাতে পারেন নিজেকে। আজ জানিয়ে দেবো স্যুট পরার কয়েকটি নিয়ম-

  • স্যুট এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ওপরের জ্যাকেট। সাধারণভাবে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় অবশ্যই স্যুটের জ্যাকেটের বোতাম লাগিয়ে রাখুন, শেষেরটা ছাড়া। শেষের বোতাম খোলা থাকলে চলাফেরা করে আরাম পাওয়া যায়।
  • বসার সময়ে কিংবা কিংবা বসার আগে স্যুটের বোতাম খুলে বসুন। এতে যেমন আপনি নিজে চাপাচাপি করে গুটিয়ে বসবেন না তেমনি স্যুটের ড্রেস কোড ঠিক থাকবে।
  • আপনি যদি অফিস, মিটিং কিংবা প্রফেশনাল কাজের জন্য স্যুট পরেন তাহলে শার্টের ওপরের বোতামের বিষয়ে যত্ন নিন। আর যদি ক্যাজুয়াল বা সাধারণ কিছুর সঙ্গে পরেন তাহলে শার্টের পরিপূরক হিসাবে টিশার্ট কিংবা পোলো শার্ট মিলিয়ে নিন।
  • স্যুটের জুয়েলারি হচ্ছে পকেট স্কয়ার। পকেট স্কয়ার হলো স্যুটের বুক পকেটে থাকা রুমালের বের হওয়া অংশ যা স্যুটকে দেয় বিশেষ ধাঁচ। তাই সব স্যুটের ড্রেস কোডের অন্যতম এই পকেট স্কয়ার। অন্ধকার ধরনের স্যুটের জন্য হালকা রঙের পকেট স্কয়ার অথবা উল্টোটা হলে ভালো। তবে পকেট স্কয়ার ইস্তিরি করা বাধ্যতামূলক।
  • সব কিছুর সঙ্গে ঘড়ি পরা যায়। তবে স্যুটের সঙ্গে পরার ক্ষেত্রে একটু সতর্ক থাকা উচিত। স্যুটের সঙ্গে পরার জন্য সাধারণ ধরনের বা স্পোর্টস ধরনের ঘড়ি পরা একদমই বেমানান। হয় চেইন বা ভালো মানের চামড়া দিয়ে তৈরি ঘড়ি পরুন অথবা স্যুটের সঙ্গে ঘড়ি এড়িয়ে যান।
  • স্যুটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফিটিং ঠিকমতো হওয়া। তাই স্যুটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ড্রেস কোড হচ্ছে স্যুটের কাঁধ এবং আপনার কাঁধ ঠিক ভাবে মিলে যাওয়া। আর যদি না মেলে বুঝে নেবেন স্যুট আপনার সাইজের নয়। এই বিষয়টি খেয়াল রাখুন।
  • ব্যাগি ট্রাউজার বলতে ঢিলাঢালা প্যান্টকে বোঝায়। স্যুটের কোনোভাবেই ঢিলঢিলা ট্রাউজার বা প্যান্ট পরা যাবে না।
  • ওভারকোট স্যুটের বেশ নতুন সংযোজন। অতিরিক্ত ঠান্ডায় বেশ কাজের এবং কর্পোরেট লুক আনতে এর তুলনা নেই। তাই একবার পরখ করে দেখতে পারেন।
  • যদি নিজেকে সাধারণ অথচ সবার থেকে আলাদা রাখতে চান তবে অতিরিক্ত স্যুট জুয়েলারি এড়িয়ে চলুন।
  • জুতার রঙ এবং স্যুটের রঙ এর মধ্যে হালকা মিল রাখার চেষ্টা করুন। তবে মিল রাখতে গিয়ে অতিরিক্ত মিলে যেন না যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
  • জুতার সঙ্গে মোজা পরার সময় খেয়াল রাখবেন পা যেন বেরিয়ে না থাকে। আরেকটি বিষয় সতর্ক থাকা উচিত যে, সাদা মোজা পরিহার করুন স্যুট পরলে।
  • স্যুটের আরেকটি অনুষঙ্গ হলো টাই। আমরা সবাই টাই পরতে গিয়ে ভুল করি, বিশেষ করে টাইয়ের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ। টাইয়ের দৈর্ঘ্য ঠিক করা হয় টাইয়ের মাথা যেন বেল্ট ছুঁই ছুঁই করে। টাইয়ের মাথা যদি বেল্টের নিচে নামে বা অনেক ওপরে থাকে তাহলে ভুল হয়েছে আপনার।
  • স্যুট আর টাই একে অন্যের পরিপূরক। তাই এই দুটোর কম্বিনেশন থাকা বাধ্যতামূলক। স্যুটের রঙের সঙ্গে মিল রেখে টাই পছন্দ করুন। গাঢ় রঙের স্যুটের সঙ্গে হালকা রঙের টাই আর হাল্কা রঙের স্যুটের সঙ্গে যাবে গাঢ় রঙের টাই মানানসই হবে।
  • সাসপেন্ডার হচ্ছে বেল্টের পরিপূরক। অনেকে ফ্যাশন বদলাতে এটি ব্যবহার করেন। মনে রাখবেন, সাসপেন্ডার এর সঙ্গে বেল্ট কখনই যাবে না। সাসপেন্ডার ব্যবহার করা হয় প্যান্ট বা ট্রাউজারকে ধরে রাখার জন্য অনেকটা বেল্টের মতো, তাই অহেতুক বেল্টের ব্যবহার আপনার ব্যক্তিত্বকে কমিয়ে আনবে।
  • স্যুটের আরেকটি মূল উপাদান হচ্ছে শার্ট। শার্টের হাতা বা শার্টের কাফ যদি আপনার হাতের থেকে বড় হয় তার মানে আপনার শার্ট এর সাইজ ঠিক নেই, তাই শার্ট কেনার সময় আপনার সাইজ মতো দেখে নিন। নয়তো আপনার স্যুট পরা মাঠে মারা যাবে।
  • অনেকের শার্টের সঙ্গে স্যুটের দূরত্ব থাকে। এর কারণ মূলত সাইজ ঠিক মতো না হওয়া বা আপনার চেয়ে বড় সাইজের হয়েছে। স্যুট যদি ফিটিংই না হয় তবে পরাটা সত্যিই অহেতুক। তাই চেষ্টা করুন দর্জির কাছে গিয়ে বানিয়ে নিতে।
Link copied!