ফেব্রুয়ারিতে গেল প্রেমের সপ্তাহ। আর পরের মাসেই অর্থাত্ মার্চে পালন হচ্ছে পুরোনো ব্যর্থ প্রেমকে ভুলে গিয়ে নতুন করে শুরু করার জন্য়। ৯ মার্চ হচ্ছে ব্যর্থ প্রেমকে ভুলে ঘুরে দাড়ানো দিন। হ্যা এই দিনটিও উত্সর্গ করা হয় প্রেমিক-প্রেমিকাদের উদ্দেশ্যে।
যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার অধিবাসী জেফ গোল্ডব্ল্যাটের ধারণা থেকেই দিনটি পালন শুরু হয়। জানা যায়, প্রেমিকা চলে যাওয়ার ভেঙে পড়েছিলেন জেফ। দুঃখভারাক্রান্ত হয়ে প্রায় অস্বাভাবিক হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেই প্রেমকে ভুলে ঘুরে দাঁড়াতেও চাচ্ছিলেন। নিজেই স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছিলেন। ওই সময় তার এমন একটি দিনের কথা ধারণায় আসে। ‘দুঃখ ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর দিন’ দিবস হিসেবে পালনের চিন্তা করেন। বিশ্বের সব ব্যর্থ প্রেমিক প্রেমিকার কথা বিবেচনা করেই দিনটি চালু করেন। তার ধারণা এমন একটা দিন বেদনাহত মানুষকে অনুপ্রেরণা দিবে। জেফ একটি কবিতা লিখেল। তা ওয়েবসাইটে পোস্ট করেন। মুহূর্তেই দারুণ সাড়া পেয়ে যান।
ওই সময় গুড মর্নিং আমেরিকা’সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই দিবস নিয়ে ফিচার প্রকাশ শুরু হলো। ধীরে ধীরে এটা সর্বজনীন জনপ্রিয় হয়ে উঠৈ।
জেফ দিনটি বাছাই করেন ভ্যালেন্টাইনস ডে এবং এপ্রিল ফুল ডে-র মাঝামাঝি। কারণ ভ্যালেন্টাইনে হয়তো নতুন প্রেম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বিচ্ছেদ হলে বেদনাহত মানুষগুলো এই বিশেষ দিনে ঘুরে দাড়ানোর অনুপ্রেরণা পাবে। তার উদ্দেশ্য হচ্ছে, ব্যর্থ প্রেমকে মনে রেখে জীবনকে নষ্ট না করে বরং এই দিনটিই হোক বিরহ যাপনের শেষ দিন হিসেবে পালন করা হোক।
আপনি ব্যর্থ প্রেমিক হলে যেভাবে দিনটি উদযাপন করবেন
- আপনার জীবনে আরও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি রয়েছে। তাদের কথা ভেবে সামনে এগিয়ে যান।
- নিজের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে কোন ধরনের ইতিবাচক কাজগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ তা ভেবে দেখুন। ইতিবাচক কাজগুলো নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
- যে বিষয়গুলো বেশি যন্ত্রণা দিচ্ছে তা থেকে দূরে থাকুন।
- নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। এটি মানসিক প্রশান্তি দিবে।
- প্রিয় গান-কবিতা কিংবা সিনেমা দেখতে পারেন।
- প্রিয়জনের উপহারগুলো সংরক্ষণে না রাখাই ভালো। বরং এসব উপহার অন্য কাউকে দিয়ে দিতে পারেন।
- বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান। পরিবারকে সময় দিন। একা না থাকার চেষ্টা করবেন।
- নিয়ম করে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ঘুম ভালো হলে অনেক মানসিক চাপই কমে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :