বাবা মানেই বটবৃক্ষ। সারাজীবন যার ছায়াতলে থেকে নিরাপত্তা পাওয়া যায়। মা সন্তানকে গর্ভে ধারণ করে। আর বাবা সন্তানকে ধারণ করে নিজের চিন্তা- চেতনায়। মায়ের গর্ভে সন্তান আসার পর থেকেই শুরু হয় বাবার পরিকল্পনা। সন্তানের সুস্থতা থেকে শুরু করে ভবিষ্যৎ গড়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়ে নেন বাবা। এরপর একে একে সন্তানের সব চাহিদা-প্রয়োজন পূরণ শুরু করেন। কখনো কখনো নিজের ইচ্ছে পূরণই ভুলে যান।
বাবারা এমনই হোন। নিজের প্রতি উদাসীন, কিন্তু সন্তানকে সবসময় আগলে রাখবেন। ১৬ জুন বিশ্ব বাবা দিবস। প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্বজুড়ে বাবা দিবস পালিত হয়। এবারও এই দিনটিতে বাবাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিশ্বজুড়ে দিনটি উদযাপন হচ্ছে।
বট গাছের মতো পরিবারকে আগলে রাখেন বাবা। ছোট থেকে বড় হওয়ার প্রতিটি মুহূর্তেই বাবা আগলে রাখে সন্তানকে। কীভাবে চলতে হবে, কীভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখা যাবে, কীভাবে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ পাওয়া যাবে সবকিছুর পথপ্রদর্শক হচ্ছেন বাবা। মায়েরা যতটা আগলে রাখে, ঠিক ততটাই আগলে রাখেন বাবা। তবে প্রায়ই সেই ভালোবাসার প্রকাশ করেন না তারা। পরিবারের খুশি তাদের কাছে সবথেকে বড় সুখ ও শান্তি।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে মা-বাবা। বহু মানুষেরই জীবনযুদ্ধের অন্যতম অনুপ্রেরণা থাকে বাবা। আদর, স্নেহ, ভালোবাসা, আস্থা, ভরসা, বিশ্বস্ততা আর পরম নির্ভরতার নাম বাবা। যিনি জীবনের সব কিছু বিসর্জন দেন, বহু ত্যাগ স্বীকার করে সন্তানকে ছাঁয়ার মতো আগলে রাখেন। যার হাত ধরে সন্তান জীবনের সব ক্ষেত্রে বেঁচে থাকার শক্তি পায়। কারণ বাবা মানে শক্তি, সাহস আর অনুপ্রেরণা।
বাবা মানে একটু শাসন, আর সাগর সমতুল্য ভালোবাসা। প্রতিটি সন্তানই তার বাবাকে ভালোবাসে। বাবার প্রতি ভালোবাসার আর কৃতজ্ঞতার প্রকাশ হয়তো করা হয় না সবসময়। কিন্তু বাবার ভালোবাসা বিশেষ কোনো দিনের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকে না।
বাবা নামে বটবৃক্ষটির ছাঁয়া সন্তানের জন্য একমাত্র অবলম্বন। জীবনে সুন্দর ও সত্পথে চলতে, দৃঢ়বিশ্বাসের সঙ্গে শক্তি সাহস ভরসা পাওয়া যায় বাবা কাছে থেকেই।
বাবা নামক বটবৃক্ষটি যতদিন পাশে থাকে ততদিনই সুন্দর থাকে সবকিছু। যখন হারিয়ে যায় জীবনে শূন্যতা নেমে আসে। বাবা হারা সন্তানদের শুরু হয় জীবনযুদ্ধ। তাই যতদিন বাবা পাশে রয়েছে উপভোগ করতে হবে প্রতিটি মুহূর্ত।