স্বার্থপররা যেভাবে অন্যকে প্রভাবিত করে

স্বার্থপরতা মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের একটি নেতিবাচক দিক। এরা আত্মমগ্ন হন এবং যা চান তা যেকোনো মূল্যে আদায় করে নেন। নানা কৌশলে তারা আপনার থেকে তাদের প্রয়োজনকে আদায় করে নিবে। আপনি সাবধান না হলে তাদের জালে ফেঁসে যেতে পারেন।

স্বার্থপর ব্যক্তির মূল লক্ষ্য হলো, তারা যা চায় তা পাওয়া, তাদের কাজ অন্যকে আঘাত দিলেও তাতে তারা গুরুত্ব দেয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা অন্যদের ব্যবহার করে নিজের কাজটি আদায় করে নেন। অন্যদের ব্যবহার করতে তারা কৌশলে ম্যানিপুলেশন বা প্রভাবিত করেন।

স্বার্থপর ব্যক্তিদের এসব কৌশল সম্পর্কে আপনার আগে জানা থাকলে সাবধান হতে পারবেন। সাধারণ কিছু কৌশল তারা বেশি অবলম্বন করেন_

• স্বার্থপররা মিথ্যাবাদী হয়। তারা প্রতারণার মাধ্যমে আপনার কাছ থেকে নিজের স্বার্থ আদায় করে নিবে। আপনি তার অপরাধ ধরিয়ে দিলে তারা বলবে, 'এমনটা ঘটেনি বা পুরো বিষয়টি আপনার কল্পনা ছিল।'
• স্বার্থপররা যেকোনো কথাকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিয়ে যাবে। তারা যুক্তি দিয়ে তর্ক করার পরিবর্তে আপনার বুদ্ধিমত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। কারণ তাদের কাছে যৌক্তিক কোনও যুক্তি প্রস্তুত থাকে না।
• স্বার্থপরদের কাজে অযৌক্তিকতা ধরিয়ে দিলে তারা নিজেদের দোষ সরিয়ে নেবে। এরপর পুরো কাজের দোষ আপনার উপর চাপিয়ে দিবে। এতে আপনি হতাশ হবেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে যুক্তিসঙ্গত কথোপকথন চালিয়ে যাওয়া সত্যিই কঠিন।
• স্বার্থপর ব্যক্তিরা সবসময় নিজেদের কৃতিত্বকেই তুলে ধরে। নিজের কাজকে নিজেই প্রশংসা করবে। তার উপস্থিতি সম্পর্কে আপনাকে সবসময় জানাবে। সেই সঙ্গে আপনি তার জন্য কি করেছেন আর কি করেননি, তাও বারবার স্মরণ করিয়ে দিবে।
• কোনো কথা জানতে চাইলে স্বার্থপর ব্যক্তি সহজেই তা এড়িয়ে যাবে। কোনো বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছেন, যা হয়তো সে আপনাকে বলতে চান না, সেই বিষয়টি ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে যাবে। অন্য কথায় আপনাকে ভুলিয়ে দিবে, না হয় পরিস্থিতি এড়াতে সেখান থেকে বেরিয়ে যাবে।
• আপনার কাছে কোনো কিছু চাওয়ার পর, যদি আপনি তাতে বারণ করেন তবে আপনাকে অপরাধবোধের উপলব্ধি করাবে। কখনো কিছু করে থাকলে সেই কথা টেনেই বারবার আপনাকে শোনাবে এবং বলবে, 'আমি যা করেছি তার জন্য় তুমি আমার কাছে ঋণী…….কিন্তু তুমি আমার জন্যে তেমন কিছুই করলে না।'
• স্বার্থপর ব্যক্তিরা অন্যের সমস্যা নিয়ে গালগল্প বেশি করে। তাদের মধ্যে কম্প্রোমাইজ বা সেক্রিফাইস বিষয়গুলো থাকে না।
• স্বার্থপর ব্যক্তিরা খুব বেশি আবেগপ্রবণ হয়। সে চাইবে সব কিছুর মধ্যমণি হয়ে থাকতে। নিজের মতামতকেই প্রাধান্য দিবে। অন্যের মতামতের কোনো দাম থাকবে না।