অনেকেই গরম চা, কফি বা স্যুপ খেতে পারে না। খেলেই জিভ পুড়ে যায়। হালকা ঠান্ডা করে খেতে হয়। এতে আসল তৃপ্তিটা তো মেটেই না, সেই সঙ্গে দিনভর অস্বস্তিবোধ হয়। জিভ পুড়ে গেলে অন্য খাবারেরও স্বাদ পাওয়া যায় না। কী করা যায় এই পরিস্থিতিতে! ঘরোয়া কিছু উপায়ে জিভের এই জ্বালাভাব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব এবং তা মুখের স্বাদ ফিরিয়ে আনবে।
- জিভ পুড়ে গেলে জ্বালাভাব কমাতে ঠান্ডা পানি পান করুন। জিভ যদি সামান্য পুড়ে যায় এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পানেই সেরে যাবে। ঠান্ডা পানি মুখকে হাইড্রেট রাখবে।
- জিভের জ্বালাভাব ঠিক না হওয়া পর্যন্ত গরম কোনো খাবার খাবেন না।
- লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। হালকা গরম পানিতে এক চিমটি পরিমাণ লবণ দিয়ে কুলকুচি করুন। লবণ অ্যান্টি-সেপটিক। এটি ক্ষত সারিয়ে তুলবে।
- অ্যালোভেরা বিভিন্ন ধরনের পোড়া ও ক্ষত সারিয়ে তোলে। জিহ্বায় খাঁটি অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিন। ব্যথা কমে যাবে। এটি ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে ঠিক করে এবং ব্যথা কমায়।
- সামান্য চিনি খেতে পারেন। এটি ব্যথা উপশমে কাজ দিবে। জিভের যে অংশটা পুড়ে গেছে, সেখানে চিনি দিয়ে রাখুন। এটি ধীরে ধীরে গলতে দিন। ব্যথা কমবে। মুখের স্বাদও ফিরে আসবে।
- জিভের পোড়া স্থানে সামান্য হলুদ লাগিয়ে নিতে পারেন। হলুদে থাকে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। গুঁড়ো হলুদের সঙ্গে একটু মধু ও ২ চামচ দুধ মিশিয়ে পেস্ট বানান। সেটি পোড়া জায়গায় লাগালে কাজ হবে।
- হলুদ দুধ খেতে পারেন। জ্বালা কমবে। এক গ্লাস গরম দুধে এক চা-চামচ হলুদ মিশিয়ে খেয়ে নিন।
- ৫ থেকে ৬টি তুলসী পাতা ভালো করে ধুয়ে চিবিয়ে নিলেও জ্বালা কমবে। তবে এক দিনে নয়, পুরো এক সপ্তাহ নিয়মিত তুলসী পাতা চিবিয়ে নিন। জিভের পোড়া ভালো হয়ে যাবে।
- লবঙ্গ তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি জিভের জ্বালা কমাবে। হালকা গরম পানি কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল মিশিয়ে তা দিয়ে ভালো করে কুলকুচি করে নিন। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার করুন। দ্রুত সেরে উঠবে।
- জিভের পোড়া স্থানে বরফ লাগিয়ে নিন। বরফ পানি দিয়েও ঘনঘন মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। কিংবা বরফের কিউব নিয়ে জিভের পোড়া অংশে চেপে রাখতে পারেন। জ্বালাভাব কমবে।
- টকদই খেতে পারেন। এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে। এটি জ্বালা ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। জিভ পুড়ে গেলে অবশ্যই ঠান্ডা দই খাবেন।