• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

পশ্চিমের সঙ্গে যুদ্ধে সামরিক বাহিনীকে প্রস্তুত হতে বললেন শি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৩, ০২:০২ পিএম
পশ্চিমের সঙ্গে যুদ্ধে সামরিক বাহিনীকে প্রস্তুত হতে বললেন শি

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০২০ সালে একটি বৈঠকে সামরিক নেতাদের বলেছিলেন, তার দেশের উত্থান এবং পশ্চিমের পতন এর জন্য বেইজিংকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা দরকার। সভার পরে নথি সংকলিত হয়েছিল এবং গত গ্রীষ্মে চীনা কমান্ডার এবং পার্টি কর্মকর্তাদের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল। সোমবার জাপানের কিয়োডো নিউজের বরাতে সংবাদমাধ্যম আরটি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চীনা সামরিক বাহিনীকে ‘একটি যুদ্ধের প্রাদুর্ভাব এবং এর পরবর্তী প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্যে প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।

শি এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের মধ্যে ডিসেম্বর ২০২০ সালের বৈঠকের নথির উদ্ধৃতি দিয়ে, জাপানি আউটলেট দাবি করেছে যে শি ঘোষণা করেছেন ‘প্রাচ্য বাড়ছে এবং পশ্চিম হ্রাস পাচ্ছে।’

বিশ্বে পরিবর্তনশীল ক্ষমতার ভারসাম্যের মধ্যে, শি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে একটি স্থানীয় সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং বিস্তৃত হতে পারে, যদিও তিনি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। শি এই ধরনের সংঘর্ষের উৎপত্তি কোথায় দেখেছেন তা স্পষ্ট নয়, তবে কিয়োডো নিউজ আশঙ্কা করছে, তাইওয়ানকে ঘিরে সম্ভাব্য সংঘর্ষ শুরু হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাশিয়া যখন ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে তখন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একে (ইউক্রেনকে) ‘পশ্চিমা সামরিক মেশিন’ বলে অভিহিত করেছেন। ঠিক একইভাবে তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে তাইওয়ানও একই পশ্চিমাপন্থী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ইউক্রেনের মতো সামরিক শক্তি দিয়ে চীনা-দাবীকৃত দ্বীপটিকে রক্ষা করার কথা জানিয়েছে।

ঠিক এ কারণেই চীনা সামরিক বাহিনীকে ‘একটি যুদ্ধের প্রাদুর্ভাব এবং এর প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত’ হওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি। পাশাপাশি চীনের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য কমান্ডারদেরকে ‘যুদ্ধের জন্য ক্রমাগত প্রস্তুত’ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

চীনা নেতা প্রায়শই জনসমক্ষে একই রকম বিবৃতি দেন। তিনি গত বছর একটি কমান্ড সেন্টার পরিদর্শনের সময় সৈন্যদের ‘যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য ব্যাপকভাবে সামরিক প্রশিক্ষণ জোরদার করার’ নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং এপ্রিলে সৈন্যদের চীনের ‘আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব এবং সামুদ্রিক স্বার্থ’ রক্ষায় ‘প্রকৃত যুদ্ধের’ দিকে তাদের প্রশিক্ষণ জোরদার করতে বলেছিলেন।

Link copied!