• ঢাকা
  • বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২, ১৫ জ্বিলকদ, ১৪৪৪

ভারতের রাফাল ভূপাতিত করা কে এই পাকিস্তানি নারী পাইলট


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম
ভারতের রাফাল ভূপাতিত করা কে এই পাকিস্তানি নারী পাইলট
পাকিস্তান বিমানবাহিনীর চৌকস নারী পাইলট আয়েশা ফারুক। ছবি: সংগৃহীত

গভীর রাতে চারদিকে নিস্তব্ধতা, নীরবতা, আর তখনই আকাশে গর্জে উঠল ককপিটে ওত পেতে থাকা পাকিস্তানের আকাশজয়ী ‘বাজপাখি’ আয়েশা ফারুকের ক্ষেপণাস্ত্র। পাকিস্তানের একঝলক ক্ষিপ্রতা, এক নিখুঁত নিশানা আর সঙ্গে সঙ্গেই ভারতীয় রাফাল পরিণত হলো ধ্বংসস্তূপে। মাত্র ২৭ সেকেন্ডে আক্রমণ, ৮.৭ সেকেন্ডে ধ্বংস এবং ৪ সেকেন্ডের মধ্যেই নিশ্চিহ্ন।

পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সবচেয়ে চৌকস নারী পাইলটের আক্রমণে দুমড়েমুচড়ে গেল শত্রুপক্ষের ২৮৮ মিলিয়ন ডলারের গর্ব রাফাল। শুধু ভারত নয়, সেদিন মাঝরাতের আকাশে চুরমার করে দিয়েছেন ফরাসি বিমানশিল্পের দাম্ভিক ইতিহাসও। আয়েশার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রেই বিশ্বে প্রথমবারের মতো ভূপাতিত হয় আকাশযুদ্ধের পশ্চিমা ‘পক্ষীরাজ’ রাফাল।

বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস থেকে শুরু করে খোদ রাফাল কর্মকর্তাও স্বীকার করেছেন রাফাল ভূপাতিত হয়েছে। আয়েশায় সেই পাইলট- পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম নারী, যিনি সরাসরি শত্রু বিমানগুলো ভূপাতিত করেছেন। ডন, ইন্টারনেট

৬ মে রাতের আকাশে ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমানকে ধ্বংস করে গোটা দক্ষিণ এশিয়াকে চমকে দেন পাকিস্তানের প্রথম যুদ্ধপ্রস্তুত নারী পাইলট আয়েশা। একটি এআইএম-১২০সি এএমআরএএএম ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, নারীরাও যেকোনো ক্ষেত্রে পুরুষদের সমান দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। ভারতীয় রাফাল ভূপাতিতের ঘটনা শুধু সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি পাকিস্তানে নারীদের ক্ষমতায়নেরও এক মাইলফলক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যুদ্ধের ইতিহাসে প্রথমবার, এক নারী পাইলটের হাতে রাফাল হারাল ভারত। যে আকাশে এত দিন পুরুষের একাধিপত্য ছিল, সেই আকাশে এবার নারীর শক্তির গর্জন শোনা গেল।

জন্ম ও বেড়ে ওঠা

পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুরে জন্ম নেওয়া আয়েশার ছোটবেলা থেকেই সামরিক পেশার প্রতি টান ছিল। মাত্র তিন বছর বয়সে বাবাকে হারান আয়েশা। মা-ই তাকে কঠিন পরিশ্রম আর প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বড় করেছেন। পাকিস্তানের মতো একটি রক্ষণশীল সমাজে, যেখানে পুরুষ অভিভাবক ছাড়া বেঁচে থাকা কঠিন, সেখানে আয়েশা বড় হন আত্মবিশ্বাস ও দায়িত্ববোধ নিয়ে। এ থেকেই আয়েশা সিদ্ধান্ত নেন তিনি একজন ফাইটার পাইলট হবেন। মা ছিলেন পুরোপুরি সমর্থনে। যদিও আত্মীয়রা শুরুতে তীব্র আপত্তি করেছেন। কিন্তু কারও কথায় থামেননি আয়েশা।

সাহসিকতা আর সংগ্রামের প্রতীক
পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে গত দশ বছরে ১৯ জন নারী পাইলট হয়েছেন। যাদের মধ্যে মাত্র ৫ জন ফাইটার জেট চালাতে পারেন। কিন্তু আয়েশাই একমাত্র, যিনি যুদ্ধের জন্য চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত। বর্তমানে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে ৩১৬ জন নারী কাজ করছেন। যেখানে পাঁচ বছর আগে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১০০। 

মুশাফ বিমানঘাঁটিতে এক সাংবাদিককে আয়েশা বলেছেন, ‘আমি আলাদা কিছু ভাবি না। আমরা সবাই এক। একই প্রশিক্ষণ, একই চ্যালেঞ্জ। আমাদের অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক অবস্থান এবং সন্ত্রাসবাদের হুমকির কারণে আমাদের সদাপ্রস্তুত থাকতে হয়।’ তার কথায় স্পষ্ট, এই পেশায় তিনি সৌন্দর্য বা আরাম খুঁজতে আসেননি, এসেছেন দেশকে রক্ষা করতে।

Link copied!