• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫
ইসরায়েলে ইরানের হামলা

চীনের পর কী বলছে রাশিয়া


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
চীনের পর কী বলছে রাশিয়া
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

ইসরায়েলের ওপর ইরান প্রথমবারের মতো সরাসরি হামলা করে গত ১৩ এপ্রিল। যেদিন ইরান, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেন থেকে তিনশটির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করা হয়। যদিও সেসবের বেশিরভাগই ইসরায়েল ও তার মিত্ররা ধ্বংস করেছে। তবে তেহরান বলছে, সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে ১ এপ্রিল ইসরায়েলি বিমান হামলার প্রতিশোধ নিতেই এ হামলা চালানো হয়েছে। সিরিয়ার যে হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ১৩ জন।

একযোগে হামলার ঘটনার পর এখন অবধি ইসরায়েল শুধু কূটনৈতিকভাবেই পাল্টা জবাব দিয়েছে। কোনো হামলা চালায়নি। ঘটনার পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৩০টিরও বেশি দেশকে ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

অন্যদিকে, ইরানের ব্যাপারে উদার দৃষ্টিভঙ্গির কয়েকটি দেশও কিছুটা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চীন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, ইরান তার সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষা করে পরিস্থিতি ভালোভাবেই সামাল দিতে সক্ষম। মধ্যপ্রাচ্যে আরও উত্তেজনা এড়াতেও তারা সক্ষম। ওয়াং ই আরও বলেছেন, আঞ্চলিক ও প্রতিবেশী দেশগুলোকে লক্ষ্যবস্তু না করার বিষয়ে ইরানের জোরালো অবস্থানের প্রশংসা করে চীন।

এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, সপ্তাহের শুরুতে ইসরায়েলে হামলার পর তারা ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের দিকে নজর দিচ্ছে। ইউএস ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, এ বিষয়ে ‘আগামী দিনগুলোতে’ পদক্ষেপ নেয়া হবে।

অন্যদিকে, ইইউ পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, ব্লক (ঐক্যবদ্ধ কিছু দেশ) এটি নিয়ে কাজ করছে। ইসরায়েল তার মিত্রদের প্রতি তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার অনুরোধ করেছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে সীমিত করার জন্য যে বিস্তৃত চুক্তি করা হয়েছিলো তার সাথে সম্পর্কিত ছিল এই নিষেধাজ্ঞাসমূহ। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ পূর্বের নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখেছে এবং নতুন কিছু নিষেধাজ্ঞা যুক্ত করেছে। গত ১৫ এপ্রিল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি বলেছেন, ইরানের হামলার জবাব না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে না।

এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ইরানের মিত্র দেশ বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসির সঙ্গে কথা বলেছেন। দুই নেতার আলাপের পর ক্রেমলিন বলেছে, ইরানের মিত্র রাশিয়াও তাদের ‘সংযমের’ আহ্বান জানিয়েছে। ক্রেমলিন আরও বলছে, ‘ভ্লাদিমির পুতিন আশা করছেন যে সমস্ত পক্ষ যুক্তিসঙ্গতভাবে সংযম দেখাবে এবং এই পুরো অঞ্চলের জন্য বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনে, এমন নতুন কোনও সংঘর্ষকে প্রতিরোধ করবে’।

Link copied!