ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অন্তত তিনটি হাসপাতালে আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে বলে ফিলিস্তিনের অভিযোগ। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রয়টার্স তাদের প্রতিবেদন এ তথ্য জানায়।
ওই প্রতিবেদনে জানা যায়, এ হামলার কারণে ফিলিস্তিনি নাগরিকরা তাদের স্বাস্থ্য ও সেবা ব্যবস্থা নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে। আগে থেকেই যুদ্ধে আহত ব্যক্তিদের সেবা দেওয়া নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা আল-জাজিরা টেলিভিশনকে বলেন, “ইসরায়েলি সেনারা গত কয়েক ঘণ্টায় অনেকগুলো হাসপাতালে ধারাবাহিকভাবে হামলা চালিয়েছে।”
কুদরা আরও জানান, আল-রানতিসি নবজাতক হাসপাতাল ও আল-নাসের শিশু হাসপাতালে ধারাবাহিক আক্রমণ ও বোমা হামলা হয়েছে।
এছাড়া কুদরা জানান, ইসরায়েল গাজার মেডিকেল কমপ্লেক্সের মাঠকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে তিনি বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি।
হাসপাতালগুলোতে হামাসকে লক্ষ্য করে করা ইসরায়েলি হামলায় আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবা ঠিকভাবে দিতে পারছে না। এদিকে চিকিৎসা সরঞ্জাম, সুপেয় পানি ও বিদ্যুতের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানিও শেষ হয়ে গেছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার ৩৫টির মধ্যে ১৮টি হাসপাতাল ও ৪০ স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র প্রয়োজনীয় জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম আল-শিফা হাসপাতালের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যায়, ইসরায়েলি সেনারা একটি পার্কিং লটে হামলা চালিয়েছে। সেখানে অনেক ফিলিস্তিনি নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্র ছিল।
তবে হাসপাতালগুলোতে তাদের কমান্ড সেন্টার ও টানেল লুকিয়ে রেখেছে বলে ইসরায়েল দাবি জানালেও হামাস তাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ।
এদিকে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে ইসরায়েলের সেনারা উত্তর গাজায় প্রতিদিন চার ঘণ্টার বিরতির জন্য সম্মতি প্রকাশ করেছে। এ বিরতির সময়ে ফিলিস্তিনি মানুষেরা স্থান পরিবর্তন এবং বন্দিদের মুক্তির জন্য ব্যবহার করতে পারবে। তবে এ সময়ে কোনো বিরতি ভালো হবে না বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।