গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সাধারণ নাগরিকদের হত্যা বন্ধ না হলে মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর যুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সেকেন্ড ইন কমান্ড শেখ নাঈম কাসেম।
সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিবিসিকে শেখ নাঈম কাসেম বলেন, “এই অঞ্চলে অনেক গুরুতর ও ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এর পরিণতি যা হবে তা কেউ আটকাতে পারবে না।”
হিজবুল্লাহর সেকেন্ড ইন কমান্ড বলেন, “বিপদটা সত্যিই আসতে চলেছে। কারণ ইসরায়েল বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি নির্যাতন ও হামলা বাড়াচ্ছে। সেখানে নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যা বেশি। এই অঞ্চলে বিপদ ডেকে না এনে কি এই পরিস্থিতি চলতে পারে? আমার মনে হয় না। তাই আমার মনে হয়, ইসরায়েলের হামলা বাড়লে এই অঞ্চলের যুদ্ধের ঝুঁকিও বাড়বে।”
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ১১ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরকম একটা সময়েই বৈরুতে একটি সাক্ষাৎকারে হিজবুল্লাহর সেকেন্ড ইন কমান্ড এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
গাজা-ইসরায়েল সংঘাতের জেরে হিজবুল্লাই একমাত্র তাদের হুঁশিয়ারি বাড়িয়েছে। তারা তাদের প্রতিক্রিয়াও অনেক সতর্কভাবে দিচ্ছে। রোববার (১২ নভেম্বর) লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় এক নারী ও তিন শিশু নিহত হয়। এর জেরে হিজবুল্লাহ প্রথমবার গ্রাড রকেট ব্যবহার করে হামলা করেছে। এ হামলায় এক ইসরায়েলি নাগরিকের মৃত্যু হয়।
হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরাল্লাহ হুমকি দিয়ে বলেন, “লেবাননে প্রত্যেকটি সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর জবাব সীমান্তের ওপারেও দেওয়া হবে।”
তবে এখনো ইসরায়েলকে সর্বাত্মক যুদ্ধের হুমকি দেননি হাসান নাসরাল্লাহ। তিনি জানান, তাদের ৬০ জনেরও বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। কিন্তু জায়গা নেওয়ার মতো যুদ্ধের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হিজবুল্লাহর আরও বহু সমর্থক আছে। বৈরুতে চলতি সপ্তাহে এমন এক যোদ্ধাকে কবর দেওয়া হয়েছে, যার পরিবার কয়েক প্রজন্ম ধরে হিজবুল্লাহর হয়ে লড়াই করে এসেছে। শুধু তাই নয়, তিনি তার পরিবারের পঞ্চম সদস্য যিনি তাদের হয়ে প্রাণ দিয়েছেন।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় এক হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে এক হাজার বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। পরবর্তীতে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ২০০ বলে জানায় ইসরায়েল সরকার। হামাসের এই হামলার জেরেই গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল।