• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২, ১৫ জ্বিলকদ, ১৪৪৪

চীনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে নিউইয়র্কে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৩, ০২:৪৮ পিএম
চীনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে নিউইয়র্কে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট

চীনের কড়া হুঁশিয়ারির মধ্যে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ মার্চ) তিনি নিউইয়র্কে পৌঁছান। নিউইয়র্কে বিরতি (ট্রানজিট) নিয়ে সেখান থেকে তিনি গুয়াতেমালা ও বেলিজে যাবেন।

বৃহস্পতিবার বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় তিনি মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার কেভিন ম্যাকআর্থির সঙ্গে দেখা করতে পারেন। যদিও ম্যাকার্থির সঙ্গে সাক্ষাতের কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা কোনো পক্ষ দেয়নি। তাইওয়ানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী শনিবার পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট নিউইয়র্কে থাকবেন। মাঝে তিনি ক্যালিফোর্নিয়া ও লস অ্যাঞ্জেলেস যেতে পারেন। সেখানেই মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে তার বৈঠক হতে পারে।

এদিকে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে যদি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি দেখা করেন, তাহলে ‘কড়া জবাব’ দেওয়া হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়েছে চীন। ওয়াশিংটনে চীনের রাষ্ট্রদূত পুরো বিষয়টির দিকে নজর রাখছেন বলে জানানো হয়েছে।

চীনের দাবি, তাইওয়ান তাদের ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বেইজিংয়ের ‘এক চীন’ নীতির অধীনে একদিন এই অঞ্চলটিকে তারা নিজেদের সঙ্গে একীভূত করবে। চীনের এই নীতির অধীনে কোনো দেশ একসঙ্গে বেইজিং ও তাইপের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রাখতে পারবে না।

গতকাল নিউইয়র্কে পৌঁছানোর পর সাইকে হোটেলে যেতে দেখা যায়। সেখানে বেইজিংপন্থী বেশ কিছু বিক্ষোভকারী চীনের পতাকা নিয়ে জড়ো হন। কাছাকাছি স্থানে তাইওয়ানপন্থী লোকজন ব্যানার নিয়ে অবস্থান নেন।

চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বলেন, “আমরা মার্কিন পক্ষকে তাইওয়ান ইস্যুতে আগুন নিয়ে খেলার পুনরাবৃত্তি না করার জন্য অনুরোধ করছি।”

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ম্যাকার্থি বলেছেন, তিনি তার নিজ অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় সাইয়ের সঙ্গে দেখা করবেন। তবে দুজনের আলোচনার বিষয়টি এখনো তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেনি।

২০২২ সালের আগস্ট মাসে প্রতিনিধি পরিষদের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে যান। এ বিষয়টি নিয়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয় বেইজিং। পেলোসি চলে যাওয়ার পরপরই চীন তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া চালায়।

প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের সম্ভাব্য বৈঠকের ব্যাপারে চীনের তাইওয়ানবিষয়ক অফিসের মুখপাত্র ঝু ফেংগিলান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিরতিতে শুধু বিমানবন্দরে বা হোটেলে অপেক্ষা করা না। এর বদলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা ও আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন।

তিনি আরও বলেছেন, যদি প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেন, এটি হবে আরেকটি উসকানি যেটি এক-চীন নীতিকে চরমভাবে লঙ্ঘন করবে, চীনের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের ক্ষতি করবে এবং তাইওয়ান প্রণালির শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করবে।

তিনি বলেন, “আমরা কঠোরভাবে এর বিরোধিতা করছি এবং অবশ্যই পাল্টা জবাব দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

Link copied!