বাখমুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফসফরাস বোমা হামলার অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বাখমুত শহরে আগুন জ্বলছে। এছাড়া শহরে সাদা ফসফরাস বৃষ্টিতে ধূসর হয়ে উঠেছে। সাদা ফসফরাস অস্ত্র নিষিদ্ধ নয়। তবে বেসামরিক এলাকায় এটার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধের শামিল।
শনিবার (৬ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। বিগত কয়েক মাস থেকেই বাখমুত দখলের জন্য চেষ্টা করে আসছে রাশিয়া। তবে তাদের কৌশল প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে শুরু থেকেই। এবার ফসফরাস ব্যবহারের অভিযোগ উঠল। ফসফরাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়ায় যা সহজে নেভানো যায় না। আগেও ফসফরাস বোমা ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে।
গত বছর ইউক্রেনে পুরোদমে হামলা শুরু করার পর থেকে বেশ কয়েকবারই সাদা ফসফরাস ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। যুদ্ধের শুরুতেই মারিউপুল দখল করে নিয়েছে রাশিয়া।
পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলেছেন, সংঘর্ষে রাশিয়ার কয়েক হাজার সেনা নিহত হয়েছে। টুইটারে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, বাখমুতের দখলের বাইরে থাকা এলাকাগুলোতে দাহ্য এই ফসফরাস হামলা চালানো হচ্ছে।
মানবাধিকার থেকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যের জন্য এই কেমিক্যাল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এটার তাপ ক্ষমতা ৮০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে শরীরের মাংস পুড়ে যেতে পারে। এটি অত্যন্ত আঠালো এবং অপসারণ করা কঠিন ও ব্যান্ডেজগুলো সরানো হলে পুনরায় জ্বলতে পারে।
এদিকে আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন শুক্রবার (৫ মে) নিজ সেনাদের ইউক্রেনের বাখমুত থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও চিফ অব জেনারেল স্টাফকে দোষারোপ করে সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার হুমকি দেন তিনি। প্রিগোজিন দাবি করেন, তার সেনারা পর্যাপ্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাচ্ছে না।
তবে ইউক্রেন জানিয়েছে, বাখমুত থেকে ওয়াগনার সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার কোনো ইঙ্গিত তারা দেখতে পাননি। উল্টো যুদ্ধের অন্যান্য সম্মুখভাগ থেকে বাখমুতে ওয়াগনারের সেনাদের নিয়ে আসা হচ্ছে। তাদের লক্ষ্য, আগামী ৯ মে’র আগে পুরো বাখমুত দখল করা। সেদিন রাশিয়া বিজয় দিবস উদযাপন করবে।
আপনার মতামত লিখুন :