বাংলাদেশের অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরন্দ্রে মোদি। এ সময় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে অবদান রাখার জন্য শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পৌঁছান। এরপর বিকেলে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনে বৈঠক করেন। অত্যন্ত ইতিবাচক পরিবেশে এ বৈঠক হয়। তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন। এই বৈঠকেই শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন নরেন্দ্র মোদি।
এবারের জি-২০ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করা ভারত দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে জি-২০ এর সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানায়।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের অবদান গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রণের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। এ ছাড়া তিনি বিশ্বের অনগ্রসর অংশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে জি-২০ এর মতো বৃহৎ পরিসরে তুলে ধরে তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান গভীর সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে একমত হন। শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে সফল রাষ্ট্রীয় সফরের পর দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। এজন্য উভয় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উভয় দেশের মধ্যকার অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বৈঠকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে কানেক্টিভিটি তথা রেল ও সড়ক যোগাযোগ বৃদ্ধি করার চলমান প্রচেষ্টা এবং কার্যক্রম বেগবান করতে উভয় প্রধানমন্ত্রী একমত হয়েছেন।