• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

শুক্রবারের আগে বন্দী মুক্তি নয়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৩, ০১:৩১ পিএম
শুক্রবারের আগে বন্দী মুক্তি নয়
গাজায় দেড় মাস ধরে নির্বিচার বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ছবি: রয়টার্স

দীর্ঘ দেড় মাস ধরে চলমান সংঘাতে ইসরায়েল ও হামাসের কাছে থাকা বন্দীদের মুক্তির মাধ্যমে সাময়িকভাবে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হয়েছে দুপক্ষ। তবে শুক্রবারের (২৪ নভেম্বর) আগে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী থাকা কোনো ফিলিস্তিনিকে মুক্ত করা হবে না বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর)পৃথক পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স ও আল-জাজিরা।

ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হ্যানগবে শুক্রবারের আগে কাউকে মুক্ত করা হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এতে বৃহস্পতিবার বন্দীদের মুক্ত হওয়ার যে সম্ভাবনা ছিলো তা কার্যত হচ্ছে না বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “মূল চুক্তি অনুযায়ী বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু শুক্রবারের আগেই নয়।”

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, চার দিনের বিরতিতে ৫০ জন ইসরায়েলি নাগরিককে মুক্তি দিবে হামাস। অতিরিক্ত প্রতি দশজন বন্দীর মুক্তিতে এক দিন করে যুদ্ধবিরতি বাড়ানো হবে বলেও বলা হয় বিবৃতিটিতে।

এদিকে চার দিনের বিনিময়ে ১৫০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিককে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। তবে শুক্রবার কেনো শুরু হবে তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি কর্তৃপক্ষ।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান জানিয়েছে, ‘বৃহস্পতিবারও যুদ্ধ চলবে’। হারেৎজ নামে ইসরায়েলি অপর এক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, “যতক্ষণ না পর্যন্ত হামাসের সঙ্গে চূড়ান্ত সময়সীমা নিয়ে চুক্তি না হচ্ছে, ততক্ষণ গাজায় যুদ্ধ চলবে।”

তবে পৃথক এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, বৃহস্পতিবার থেকে ইসরায়েল হামাসের এ যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তা একদিন পিছিয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বৃহস্পতিবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু নাও হতে পারে। যেসকল বন্দিরা মুক্তি পাবে তাদের নাম চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি হবে না। তাই হুট করে নেওয়া এ সিদ্ধান্তের কারণে কাতারের মধ্যস্থতায় শুরু হতে যাওয়া যুদ্ধবিরতির বিষয়টি একটি ধাক্কা খেয়েছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।

Link copied!