ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতনিয়াহু এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, গাজায় স্থল যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ফিলিস্তিনের হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় ১৯ দিন ধরে একটানা বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়লের বিমানবাহিনী। গাজা উপত্যকায় চলছে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। এই হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলের ব্যাপক আহ্বান সত্বেও বুধবার (২৫ অক্টোবর) এক টেলিভিশন ভাষণে এ কথা বলেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড় ধরনের হামলা চালায়। এই প্রেক্ষিতে নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল এখনো শোকার্ত ও ক্ষুব্ধ। আমরা আমাদের অস্তিত্বের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।
কিন্তু ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা বর্ষণের প্রেক্ষিতে গাজায় তীব্র মানবিক সংকটের কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বিশ্বনেতারা গাজায় নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা এবং যুদ্ধের নিয়মনীতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
বাইডেন বুধবার বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে সুপারিশ করছেন গাজায় স্থল যুদ্ধের আগে ইসরায়েলের জিম্মিদের বের করে আনতে হবে। তিনি বলেন, “এটা তাদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমি তা চাচ্ছি না।”
এদিকে বাইডেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য আরও অর্থ বরাদ্দে কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ সতর্ক করে বলেছেন, বড় ধরনের হামলার কারণে বেসামরিক নাগরিকদের ঝুঁকি আরও বাড়বে যা হবে মারাত্মক ভুল।
কিন্তু হামাসের ওপর নারকীয় গোলাবর্ষণ এবং হাজার হাজার যোদ্ধাকে হত্যার জন্য গর্বিত নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসকে নির্মূলে এবং বন্দীদের ফিরিয়ে আনতে কখন স্থল যুদ্ধ শুরু করা হবে, তা তার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা এবং সামরিক বাহিনী নির্ধারণ করবে।
তিনি বলেন, “কখন কীভাবে স্থল অভিযান শুরু হবে, তা আমি বলব না।”
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের বোমা বর্ষণে ছয় হাজার পাঁচ শ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুই হাজারের বেশি নারী ও শিশু রয়েছে। আহত হয়েছে তিন হাজারের বেশি শিশু। সূত্র-বাসস