করোনা ভাইরাস মহামারীর পর পৃথিবীজুড়েই চলছে অর্থনৈতিক মন্দা। সংকট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ফলে অর্থনৈতিক ধাক্কা সামাল দিতে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিচ্ছে।
গত বছর ‘জনপ্রিয়’ সার্চ ইঞ্জিন গুগল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারসহ বেশ কিছু প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাঁটাই করেছে। এর পর পরই বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অর্থনৈতিক সংকট দেখিয়ে বিপুলসংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের ঢল শুরু হয়। সেই ঢল এখনো অব্যাহত রয়েছে।
এ অবস্থায় ই–কমার্স কোম্পানি অ্যামাজন আবারও ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। সোমবার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি জ্যাসি এই ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে জানুয়ারি মাসে ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিল তারা।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
অ্যান্ডি জ্যাসি বলেন, “চাকরি ছাঁটাইয়ের এ সিদ্ধান্ত আগামী কয়েক সপ্তাহে বাস্তবায়ন হবে। অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস, পিপল এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, বিজ্ঞাপন বিভাগ এবং অ্যামাজনের স্ট্রিমিং ইউনিট টুইচ থেকে এই ছাটাই করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এটি খুবই কঠিন সিদ্ধান্ত, কিন্তু কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদী ভালোর জন্য এটা করতেই হবে। কেউ কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, কয়েক মাস আগে যখন ছাঁটাই করা হয়েছিল, তখন কেন একসঙ্গে কাজটি করা হয়নি। এর সংক্ষিপ্ত উত্তর হলো, সব কটি বিভাগ তাদের কর্মী বিশ্লেষণ শেষ করতে পারেনি। আমরা এখন অনিশ্চিত অর্থনীতির ভেতর আছি, অদূর ভবিষ্যতেও তা বিদ্যমান থাকবে। এ কারণে আমরা ব্যয় কমাতে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
গত সপ্তাহে টুইচের প্রধান নির্বাহী (সিইও) হিসেবে ড্যান ক্ল্যান্সির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, এই প্ল্যাটফর্ম থেকে চার শতাধিক কর্মী ছাঁটাই করা হবে।
সারা বিশ্বে অ্যামাজনের প্রায় ৩ লাখ কর্পোরেট কর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে গত কয়েক মাসে প্রতিষ্ঠানটি ২৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে, যা মোট কর্মীর ৯ শতাংশ। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা ১ দশমিক ৮ শতাংশ কমে গেছে।