পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। এ সময় কাশ্মিরের ঘটনায় উত্তেজনা কমাতে ভারতকে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ওই ফোনালাপে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন মার্কো রুবিও।
ফোনালাপের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে দেয়া পৃথক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেন, ফোনকলে শাহবাজ শরিফের সঙ্গে পহেলগামে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন রুবিও। একই সঙ্গে তিনি এ হামলার তদন্তে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে করা আলাদা একটি ফোনকলে পহেলগামে হামলায় নয়াদিল্লির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া এ হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত আছে বলে ভারত যে অভিযোগ তুলেছে এবং প্রতিশোধের যে হুমকি দিচ্ছে, এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানান তিনি।
ট্যামি ব্রুস জানান, পহেলগামে ভয়াবহ বন্দুক হামলায় যে প্রাণহানি হয়েছে, তা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। একই সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানান।
কাশ্মিরে ভয়াবহ হামলার পর ভারত ও পাকিস্তান একাধিক পাল্টাপাল্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারত সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করেছে। এই চুক্তি ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। প্রধান একটি সীমান্ত পয়েন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করেছে এবং পাকিস্তানের দূতাবাসে থাকা সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর উপদেষ্টাদের বহিষ্কার করেছে।
জবাবে পাকিস্তান ভারতের এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে, যার ফলে বিশেষ করে উত্তর আমেরিকা থেকে ভারতে আসা-যাওয়ার ফ্লাইটগুলোর সময় অনেক বেড়ে গেছে। ভারতের নাগরিকদের দেওয়া ভিসা বাতিল করেছে (শুধুমাত্র শিখ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় সফর বাদে)।
এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি সিমলা চুক্তি স্থগিত করেছে পাকিস্তান।