• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

গাজাবাসীকে আরও দক্ষিণে যাওয়ার নির্দেশ ইসরায়েলের


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৩, ০৬:০২ পিএম
গাজাবাসীকে আরও দক্ষিণে যাওয়ার নির্দেশ ইসরায়েলের
উত্তর গাজার একটি এলাকায় ইসরায়েলের পতাকা উড়ছে তাদের হাউইটজারে। ছবি-সংগৃহীত

ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক গাজায় বিতরণ করা লিফলেটে বলা হয়েছে, “গাজার বাসিন্দারা, এটি জরুরি সতর্ক বার্তা। ওয়াদি গাজার উত্তরে অবস্থান করছে। ফলে তোমাদের প্রাণসংশয় রয়েছে। তোমরা যারা উত্তর গাজা ছেড়ে ওয়াদি গাজার দক্ষিণে চলে না যাবে, তাদেরকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের সহযোগি বলে চিহ্নিত করা হবে।”

এদিকে গাজার উত্তর পাশে অবস্থান করা ফিলিস্তিনিরা জানিয়েছেন, উপত্যকার দক্ষিণ দিকে সরে যেতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের বার বার হুমকি দিচ্ছে। এরপরও যারা উত্তর অংশে থাকবে তাদেরকে একটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠনের’ সহমর্মী ও সহযোগী বলে বিবেচনা করবে ইসরায়েলি বাহিনী।

গত শনিবার থেকেই ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নাম ও প্রতীক সম্বলিত লিফলেট ফেলা হচ্ছে গাজার উত্তর অংশে। ইসরায়েল থেকে তাদের মুঠোফোনে অডিও বার্তা পাঠিয়েও একইকথা বলা হচ্ছে।

গত ৭ অক্টোবর কোনো ফিলিস্তিনি সংগঠন ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন ভয়াবহ আক্রমণ চালায় ইসরায়েলে। এরপর থেকেই আকাশপথে গাজা উপত্যকায় অনবরত বোমা হামলা করে যাচ্ছে ইসরায়েল। স্থল ও নৌপথ থেকেও করা হচ্ছে গোলাবর্ষণ। গাজার হাসপাতাল, জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুল কোনোকিছুই বাদ যাচ্ছে না এই হামলা থেকে। খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও ওষুধের সংকটে বর্ণনাতীত এক মানবিক বিপর্যয়ে পড়েছে গাজার মানুষ।

দিনকয়েক আগেই গাজার হাসপাতালে হামলা চালিয়ে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। কিন্তু, পরে তারা এ দায়ভার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করে। ইসরায়েলকে নিঃশর্ত সমর্থন দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রও এ বয়ান মেনে নিয়েছে।

এই অবস্থায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘যারা পালায়নি তাদেরকে উক্ত সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হিসেবে বিবেচনা করার কোনো অভিপ্রায় নেই তাদের।’ তারা সাধারণ মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করছে না বলেও দাবি করেছে।

তবে বেসামরিক মানুষের হতাহত এড়াতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের ওয়াদি গাজার দক্ষিণ দিকে চলে যাওয়ার অনুরোধ করেছে।  

এদিকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের বার বার দক্ষিণে যাওয়ার কথা বললেও, তাদের অব্যাহত বিমান হামলার মধ্যে সাধারণ মানুষ পালাতেও পারছে না। পলায়মান মানুষকেও এর আগে বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এমনকি দক্ষিণে আশ্রয় নেওয়া মানুষের ওপরও হামলা চলছে। সূত্র- রয়টার্স।

Link copied!