গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চাপের মুখে রয়েছে ইসরায়েল।
শনিবার (১১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফাতে হামলা করেছে ইসরায়েল। সেই সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ান একটি হাসপাতাল ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে এবং নাসের রানতিসি পিডিয়াট্রিক ক্যান্সার হাসপাতালে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক মুহাম্মদ আবু সেলমিয়াহ বলেন, “ইসরায়েল এখন গাজার হাসপাতালগুলোতে হামলা চালাচ্ছে। গাজার আল-বুরাক স্কুলে করা ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। স্কুলটি অনেক ফিলিস্তিনি নাগরিকের আশ্রয় কেন্দ্র ছিল।”
শুক্রবার ভারত সফরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন বলেন, “গত কয়েক সপ্তাহে ফিলিস্তিনের অনেক মানুষ নিহত হয়েছেন। অনেককে কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে।”
তবে, গাজায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করতে ইসরায়েলের কার্যক্রমকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে বলেও জানান অ্যান্থনি ব্লিংকেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “হামাসের সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে ফ্রান্স নিন্দা জানিয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অনেক মানুষ নিহত হয়েছে। এর কোনো যৌক্তিকতা নেই। তাই গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করা উচিত।”
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় এক হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছেন এবং হামাসের কাছে ২৪০ জনের বেশি মানুষ বন্দী আছে। এর জেরে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।