ইসরায়েল সরকারের কাছে ভারত থেকে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার অনুমতির আবেদন জানিয়েছে দেশটির নির্মাণ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করেন।
ইসরায়েলে ৯০ হাজার ফিলিস্তিনি শ্রমিক কর্মরত ছিল। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার পর তাদের কাজের অনুমতি বাতিল করে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি শ্রমিকের বদলে এখন ভারত থেকে ১ লাখ শ্রমিক নিয়োগ দিতে চায় দেশটি।
ভয়েস অব আমেরিকাকে ইসরায়েল বিল্ডার্স এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হেইম ফেইগলিন বলেন, “বর্তমানে আমরা ভারতের সঙ্গে মধ্যস্থতা করছি। এর জন্য ইসরায়েল সরকারের অনুমতির অপেক্ষায় আছি আমরা। ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ শ্রমিক নিয়োগ করতে পারব বলে আশা করছি। সেই সঙ্গে পুরো সেক্টরের কাজ পুরো উদ্যমে শুরু করে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারব।”
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এ রিপোর্টের কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ফেইগলিন বলেন,“বর্তমানে আমরা যুদ্ধের মধ্যে রয়েছি। আমাদের কর্মক্ষম শ্রমিকের ২৫ শতাংশ ফিলিস্তিনের। তারা আর কাজ করতে আসছে না, ইসরায়েলে তাদের কাজ করার অনুমতি নেই।” এদের ১০ শতাংশ গাজার এবং বাকিরা ওয়েস্ট ব্যাংক অঞ্চলের বাসিন্দা।
মে মাসে, ভারত থেকে ৪২ হাজার শ্রমিককে ইসরায়েলে কাজের অনুমতি দিবে বলে ভারতের সঙ্গে চুক্তি হয় ইসরায়েলের।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে হিব্রিউ বলেন, “ভারত কর্তৃপক্ষ নির্মাণ শিল্প ও সেবা খাতে ৪২ হাজার শ্রমিক পাঠানো নিয়ে একটি চুক্তিও সাক্ষর করেছে।”
গত সপ্তাহে ইসরায়েল সেখানে কর্মরত হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শ্রমিককে গাজায় হামলার পর ফিলিস্তিনে পাঠিয়ে দেয়।
৭ অক্টোবরের হামলার পর বন্ধ করে দেওয়া সীমান্ত দিয়ে কিছু শ্রমিক পার হয়। তারা এসে তাদের ওপর অমানবিক হামলার কথা জানায়।
আল-সাজদাহ গাজা থেকে ইসরায়েলে গৃহকর্মের কাজে নিযুক্ত ১৮ হাজার শ্রমিকদের একজন। এ ধরনের কাজের অনুমতি গাজায় অনেক প্রচলিত। কারণ গাজার বেকারত্বের হার প্রায় ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। হামাসের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য ও গাজাকে স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে নিয়ে আসতে ইসরায়েল এ কাজের অনুমতি প্রদান করেছিল।