গাজায় সেবা সহায়তা পৌঁছানোর জন্য ও হামাসের হাতে বন্দীদের মুক্তির জন্য ইসরায়েল কৌশলগতভাবে স্বল্প সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতির কথা চিন্তা করতে পারে বলে জানিয়েছের ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) এবিসি নিউজের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের নিয়ন্ত্রক হামাসের হাতে বন্দী থাকা ব্যক্তিদের মুক্তির পরই তারা যুদ্ধবিরতিতে যাবে বলে জানান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার (৬ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের এক টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, “আমি মনে করি ইসরায়েল অনির্দিষ্টকালের জন্য সামগ্রিক নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে ইচ্ছুক। কারণ আমাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব না থাকলে কী পরিণতি হয় আমরা দেখেছি।”
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের অতর্কিত হামলায় ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছেন এবং হামাসের কাছে ২৪০ জন আটক রয়েছেন। এর জেরে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তবে ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই আন্তর্জাতিক চাপের পরও তারা যুদ্ধবিরতিতে যেতে নারাজ। ইসরায়েলের দাবি হামাসের কাছে বন্দীদের মুক্তি না দিলে তারা যুদ্ধবিরতিতে যাবে না। এদিকে হামাস গাজায় হামলা চলাকালীন কাউকে মুক্তি দিতে রাজি নয়।
মানবিক বিরতির কথা জিজ্ঞাসা করলে নিতানিয়াহু বলেন, “আমাদের বন্দী নাগরিকদের মুক্তি না দিলে গাজায় কোনো ধরণের যুদ্ধবিরতি হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “কোনো সহায়তা পৌঁছানোর জন্য বা বন্দীদের মুক্তির জন্য হলে আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখবো।”