মে মাসে ১৪২টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। যা ২০১৫ সালের পর দেশটিতে এক মাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যুদণ্ড। বৃহস্পতিবার একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী এ তথ্য জানিয়েছে।
শুক্রবার (২ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
অসলোভিত্তিক ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআরএনজিও) অনুসারে, অর্ধেকেরও বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল মাদক-সংক্রান্ত অপরাধের জন্য। বাকিগুলো ইসলাম ধর্ম অবমাননা, ব্যভিচার এবং দুর্নীতি ছড়িয়ে দেওয়ার দায়ে দেওয়া হয়েছিল। জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে, ইরান ৩০৭টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। যা গত বছরের একই সময়ে রিপোর্ট করা ২২০টি মৃত্যুদণ্ডের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
আইএইচআরএনজিও এর পরিচালক মাহমুদ আমিরি মোগাদ্দাম এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসলামিক প্রজাতন্ত্রে নির্বিচারে মৃত্যুদণ্ডের তীব্রতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্য হল প্রতিবাদ প্রতিরোধ করা এবং তাদের শাসনকে দীর্ঘায়িত করার জন্য সামাজিক ভীতি ছড়িয়ে দেওয়া। এসব মৃত্যুদণ্ডের ফলে মৃত্যুদণ্ডের বর্তমান গতি কমানোর জন্য ইরানের ওপর আরও আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানানো হয়েছে।
আইএইচআরএনজিও অনুসারে, ইরান ২০১০ সাল থেকে ৭ হাজার ২৯২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে, যার মধ্যে ৬৮ জন নাবালক এবং ১৯৩ জন নারী রয়েছেন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, গত বছর, ৫৭৬টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য, ইরান চীনের পরে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল, যেখানে চীনে ৮৮৩টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল।
গত মাসে, নিউইয়র্ক ভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছিল, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইরানের কর্তৃপক্ষের মৃত্যুদণ্ডের নাটকীয় বৃদ্ধি জীবনের অধিকারের একটি গুরুতর লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিকভাবে এর নিন্দা করা উচিত।