• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

‘খালিস্তানপন্থী’ অমৃতপাল পাঞ্জাব থেকে হরিয়ানায় পালিয়েছিলেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩, ১২:৫৬ পিএম
‘খালিস্তানপন্থী’ অমৃতপাল পাঞ্জাব থেকে হরিয়ানায় পালিয়েছিলেন

স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র ‘খালিস্তানপন্থী’ নেতা অমৃতপাল সিংকে ধরতে ভারতের পাঞ্জাবজুড়ে পুলিশের তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এতো কিছুর পরও তাকে এখনও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে এবার তার বিষয়ে কিছুটা তথ্য বের করতে পেরেছে দেশটির আইন প্রয়োগকারী বাহিনী।

গত শনিবার পাঞ্জাব পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে রোববার হরিয়ানাতেই ছিলেন সিং। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) এমনটাই জানিয়েছে পুলিশের একাধিক সূত্র।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। রোববার এক সহযোগীর বাড়িতে ছিলেন অমৃতপাল এবং পরের দিন সকালে সেখান থেকে চলে যান। তার সহযোগী বলজিৎ কৌরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কৌর পুলিশকে জানিয়েছেন, অমৃতপাল এসেছিলেন আরেক সহযোগী পাপলপ্রীতের সঙ্গে।

ভারতের পাঞ্জাবের অন্যতম নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী শিখ সম্প্রদায়। যারা দীর্ঘদিন থেকে ভারত থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র ‘খালিস্তানের’ দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল, জম্মু-কাশ্মীর ও রাজস্থানের অংশবিশেষ নিয়ে প্রস্তাবিত এই স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে শিখদের পছন্দ চণ্ডীগড় শহর। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছে তারা। ওই আন্দোলন ‘খালিস্তানি’ আন্দোলন নামে পরিচিত।

১৯৮০-এর দশকের দিকে সেই আন্দোলন দমনে ভারত সরকার হাজার হাজার শিখ বিদ্রোহীকে হত্যা করেছিল। তাদের সেই আন্দোলন সেখানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। এরপর পেরিয়ে গেছে দীর্ঘ সময়। শিখদের পৃথক মাতৃভূমির স্বপ্নকে পুনরায় পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিং।

অমৃতপালের বিরুদ্ধে গোষ্ঠী হিংসা ছড়াতে বিদ্বেষপূর্ণ ভাষণ দেওয়া, পুলিশকে আক্রমণসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। তবে শনিবার (১৮ মার্চ) থেকে পলাতক রয়েছেন তিনি।

পালিয়ে যাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে রাজ্যটির অনেক জেলায় সশস্ত্র পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে, ‘সহিংসতায় প্ররোচনা রুখতে’ কর্তৃপক্ষ পুরো রাজ্যের মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে একসঙ্গে প্রায় আড়াই কোটি মানুষের জন্য এমন ‘বিস্তৃত ব্ল্যাকআউটের’ ঘটনা আর দেখা যায়নি।

ভারতের বেআইনি কর্মকাণ্ড (প্রতিরোধ) আইনে খালিস্তান আন্দোলনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত অসংখ্য সংগঠনকে ঢোকানো হয় ‘সন্ত্রাসী সংগঠনের’ তালিকায়। কিন্তু বিদেশে খালিস্তানের সমর্থকরা অবাধে চলাচল করতে পারছে। কানাডা, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ায় শিখদের অনেকের কাছে এই আন্দোলন সমর্থনও পাচ্ছে।

অমৃতপালের সমর্থকরা এরই মধ্যে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের ভারতীয় দূতাবাসে তাণ্ডব চালিয়েছে, ভারতের জাতীয় পতাকা নামিয়ে, সেখানে খালিস্তানের প্রতীক বসিয়ে দিয়েছে। বিক্ষোভ হয়েছে কানাডাতেও।

Link copied!