• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

দাবদাহ বাড়তে থাকলে মারা যেতে পারে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৩, ১২:২৭ পিএম
দাবদাহ বাড়তে থাকলে মারা যেতে পারে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ

বিশ্বজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের ঘটনা ক্রমেই নিয়মিত হয়ে উঠছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে তাতে অচিরেই জনজীবনে চরম বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। গবেষণা বলছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে তাপজনিত মৃত্যুর হার দ্রুত বাড়তে পারে। এতে চলতি শতকের শেষে শুধু ইরাকেই মৃত্যু হতে পারে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের।

জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। গত এপ্রিলে বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেট আগামী কয়েক দশকে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ব্যাপক হারে বাড়ার ফলে মধ্যপ্রাচ্যের কী অবস্থা হতে পারে তা নিয়ে একটা সমীক্ষা প্রকাশ করেছে।

ল্যানসেটের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, তীব্র দাবদাহের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে মৃত্যুহার অনেক বাড়বে। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে দাবদাহজনিত রোগে ভুগে প্রতি এক হাজারে দুজনের মৃত্যু হয়। এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১২৩ এ। দাবদাহ বাড়তে থাকলে চলতি শতক শেষে শুধু ইরাকে মারা যেতে পারে ১ লাখ ৩৮ হাজারের মতো মানুষ। ২০৫০ সাল নাগাদ মধ্যপ্রাচ্যের ৭০ শতাংশের মতো মানুষ বড় বড় শহরে বসবাস শুরু করবে। এর প্রভাবে শহরাঞ্চলে তাপমাত্রা অনেক বাড়বে। ফলে দাপদাহজনিত কারণে মৃত্যুও বাড়বে। গবেষকেরা বলছেন, মৃত্যু বেশি বাড়বে বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে।

গবেষকরা আরও বলেছেন, চলতি শতকে বিশ্বের কোনো কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ২ থেকে ৯ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে৷

এদিকে গত মে মাসে বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচার সাসটেইনেবিলিটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ শতাংশের চেয়ে বেড়ে গিয়ে ভয়াবহ একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

জাতিসংঘের চিফ হিট অফিসার অ্যালেনি মিরিভিলি বলেন, আবহাওয়াজনিত বিপর্যয়গুলোর মধ্যে চরম তাপমাত্রা সবচেয়ে বিপদের কারণ হয়ে উঠছে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে এই বিষয়ে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না। বড় বিপর্যয় এড়াতে হলে সরকারগুলোর উচিত চরম দাবদাহ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো, এজন্য প্রস্তুতি নেওয়া ও নিজেদের রক্ষার কৌশল নির্ণয়ের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা।”

Link copied!