গাজায় অ্যাম্বুলেন্সে করা ইসরায়েলের বিমান হামলার ঘটনায় ভয় প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেস। তিনি এ সংঘাত বন্ধ করতে হবে বলেও বক্তব্য প্রদান করেন।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) গাজার আল-শিফা হাসপাতাল থেকে গুরুতর আহত ব্যাক্তিদের রাফাহ ক্রসিং এ নিয়ে যাওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্সে বিমান হামলা করে ইসরায়েলি সেনারা। ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, তাদের সংস্থাটির একটি অ্যাম্বুলেন্সে হামলা করে ইসরায়েলি সেনারা। এ হামলায় ১৫ জন নিহত ও ৬০ এর বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব এক বক্তৃতায় বলেন, “গাজায় আল-শিফা হাসপাতালে হওয়া হামলায় আমি হতবাক। রাস্তায় বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা মরদেহের ছবিগুলো অনেক ভয়ানক।”
ইসরায়েলের সেনাদের দাবি তাদের সেনারা অ্যাম্বুলেন্সটিকে হামাসের ব্যবহৃত ছিলো বলে তারা সেটিতে হামলা চালিয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব ইসরায়েলের ওপর হওয়া হামাসের হামলার কথা মাথায় রেখেই বলেন, “প্রায় ১ মাস ধরে গাজায় বসবাসরত নারী-পুরুষ, শিশুসহ সাধারণ মানুষকে গুরুতরভাবে আহত করা হচ্ছে, তারা পর্যাপ্ত সেবাও পাচ্ছে না। সেইসঙ্গে তাদের নৃশংসভাবে হত্যাও করা হচ্ছে। এসব বন্ধ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “গাজায় বর্তমানে পর্যাপ্ত খাবার, পানি, ওষুধ এমনকি হাসপাতালগুলো চালানোর মতো পর্যাপ্ত জ্বালানিও নেই। মর্গগুলো পুরোপুরি ভর্তি হয়ে আছে, দোকানপাট সব খালি। সাধারণ মানুষ বিশেষত শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকলেই ভীত হয়ে আছে।”
মহাসচিব হামাস-ইসরায়েলের এ সংঘাতে বিরতি দেওয়ার আহ্বান জানান। এছাড়া ৭ ই অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা করে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া জিম্মিদের হামাসের কাছ থেকে মুক্তির আহ্বান জানান।
ইসরায়েলের ওপর অতর্কিত হামলায় ১ হাজার ৪০০ জন মানুষ নিহত হয়। যার মধ্যে বেশিরভাগই সাধারণ জনগণ ছিলো বলে জানায় ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৯ হাজার ২০০ এর বেশি। যাদের মধ্যে নারী ও শিশুই বেশি বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।