ইসরায়েল থেকে সব কূটনৈতিককে দেশে ফিরতে নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রোববার (৫ নভেম্বর) গাজায় করা ইসরায়েলের তীব্র বিমান হামলার পর দেশটি এ সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
রোববার রাতে হওয়া এ হামলা গত এক মাসে গাজায় হওয়া হামলার মধ্যে সবচেয়ে তীব্র ছিলো। গাজার আল-শিফা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ হামলায় অন্তত ২০০ জন মানুষ নিহত হয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার সোমবার (৬ নভেম্বর) গাজায় হামলার জন্য ইসরায়েলের তীব্র নিন্দা জানায়। দেশটি অনেক আগে থেকেই ফিলিস্তিনের পক্ষে মৌখিক সমর্থন দিয়ে আসছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি পেনডোর এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের কূটনৈতিকদের ইসরায়েল থেকে প্রত্যাহার করে বলেন, “ফিলিস্তিনে শিশু ও নিরীহ সাধারণ নাগরিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা ভীষণভাবে চিন্তিত। ইসরায়েল যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে আমরা বিশ্বাস করি তা সংঘবদ্ধ শাস্তিতে পরিণত হচ্ছে।”
নালেদি পেনডোর আরও বলেন, “আমরা মনে করি যুদ্ধবিরতির সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্বেগকে চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ।”
তবে ইসরায়েলের দাবি তারা সাধারণ মানুষের ওপর হামলা থেকে বিরত থাকতে চাইছে। কিন্তু হামাস সাধারণ মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করায় তারা হামলার শিকার হচ্ছেন।
৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলায় ইসরায়েলের ১ হাজার ৪০০ এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ২৩০ জনকে জিম্মি করেছে হামাস। সেখানে একজন দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক রয়েছেন। যদিও তাকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিওর হায়েস্ট তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকার কূটনৈতিক প্রত্যাহারের এ সিদ্ধান্ত হামাসের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য সাফল্য এবং হত্যাকাণ্ডের পুরষ্কার স্বরূপ।”
দক্ষিণ আফ্রিকার মন্ত্রীপরিষদ ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত এলিয়াভ বেল্টোসের্কোভস্তির বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার নামে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ আনেন।
দক্ষিণ আফ্রিকাই একমাত্র দেশ নয় যারা গাজায় হওয়া হামলার কারণে ইসরায়েল থেকে তাদের কূটনৈতিক প্রত্যাহার করেছে। চিলি, কলোম্বিয়াসহ অনেক দেশ তাদের কূটনৈতিক প্রত্যাহার করেছে।