• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

নিরাপত্তার কারণে জাপানি সামুদ্রিক খাবার আমদানিতে চীনের নিষেধাজ্ঞা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৩, ০৫:০২ পিএম
নিরাপত্তার কারণে জাপানি সামুদ্রিক খাবার আমদানিতে চীনের নিষেধাজ্ঞা

২০১১ সালে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিপর্যয়ের পর সেখানকার তেজস্ক্রিয় পানি সমুদ্রে ফেলার পরিকল্পনা করেছে জাপান। আর এ কারণে জাপানি সামুদ্রিক খাবার আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। দেশটির দাবি, বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে পরিকল্পনাটি হচ্ছে না।

শুক্রবার (৭ জুলাই) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, মঙ্গলবার জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত জাপানি এ পরিকল্পনাটি দেশে এবং বিদেশে বিরোধিতার পাশাপাশি নানাভাবে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। যদিও জাপান জোর দিয়ে বলছে, এই পানিগুলো সমুদ্রে ফেলায় পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে।

চীনের কাস্টমস প্রশাসন এক বিবৃতিতে বলেছে, নিরাপত্তা জনিত কারণে জাপানের তেজস্ক্রিয় পদার্থ শনাক্ত ও পর্যবেক্ষণ জোরদার করতে চীনে রপ্তানি করা জাপানি সামুদ্রিক খাবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ঝুঁকিপূর্ণ পণ্য আমদানি কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে।

২০১১ সালের মার্চ মাসে উত্তর-পূর্ব জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিপর্যয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ নির্গত হওয়ার পর থেকে চীন জাপান থেকে খাদ্য ও কৃষি পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছিল। ১২ বছর আগেই চীন প্রথম জাপানের ফুকুশিমাসহ ১০টি জাপানি এলাকা থেকে খাদ্যপণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য অঞ্চল থেকে পণ্য চালান সম্পূর্ণরূপে স্ক্রিনিং (তেজস্ক্রিয়তা পর্যবেক্ষণ) করার সিদ্ধান্ত নেয় চীন।

এর আগে কিছু জাপানি কর্মকর্তা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছিল, জাপানের সামুদ্রিক খাবারের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন। গ্রীষ্মের শেষের দিকে টোকিও ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিপর্যয়ের পর সেখানকার তেজস্ক্রিয় পানি সমুদ্রে ফেলার পরিকল্পনায় দেশটিত তাদের সামুদ্রিক খাবার আমদানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। বিগত

কয়েক সপ্তাহ ধরে শোধিত পানি সমুদ্রে ফেলার সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে চীন বলছে, এটি পরিবেশ এবং মানব স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।

জাপানি পরিকল্পনার অধীনে, ট্রিটিয়াম বাদে বেশিরভাগ তেজস্ক্রিয় উপাদানগুলিকে অপসারণ করার জন্য জল প্রথমে ফিল্টার করা হবে, একটি আইসোটোপ যা জল থেকে আলাদা করা কঠিন, এবং আন্তর্জাতিক মানের নীচে পাতলা করা হবে।

কিন্তু চীনের পরমাণু শক্তি কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭০ শতাংশেরও বেশি পারমাণবিক দূষিত পানিতে ফিল্টার ব্যবস্থায় আরও নিষ্কাশন প্রয়োজন।

Link copied!