গাজার হাসপাতালগুলোতে ইসরায়েলি হামলায় সেখানে মানবিক বিপর্যয়ের দেখা দিয়েছে। হামলার কারণে হাসপাতালগুলোতে পড়ে থাকা শতাধিক মরদেহ দাফন করা সম্ভব হচ্ছে না।
আল-জাজিরা জানায়, হামলা ও জ্বালানি অভাবে গাজার বড় দুটি হাসপাতাল আল-শিফা ও আল-কুদসের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। গত ৭ অক্টোবর হামলার পর থেকে গাজায় জ্বালানি ঢুকতে দেয়নি ইসরায়েলি সেনারা। বেশ কয়েকদিন ধরে গাজার হাসপাতাল গুলোতে অবস্থান করছে ইসরায়েলি সেনাদের ট্যাংক। সেখানে আশ্রয় নিয়ে আটকে পরা সাধারণ মানুষ, স্বাস্থ্যকর্মী ও হাসপাতাল ভবনে কয়েক দফায় হামলা করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
গাজার হাসপাতাল গুলোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাকোত জানান, গাজার হাসপাতালগুলোতে কোনো জ্বালানি ঢুকতে দেয়নি ইসরায়েলি সেনারা। আল-শিফা হাসপাতাল নিরাপদ নয়। সেখানে মরদেহগুলো কাছেও যাওয়া যাচ্ছে না।
গাজার উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী আবু আল-রিশ বলেন, “ইসরায়েলের বিমান হামলায় আল-শিফা হাসপাতালের কার্ডিয়াক ওয়ার্ড ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলায় দোতলা ভবনটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।” তিনি আরও বলেন, “আল-শিফা হাসপাতাল থেকে রোগী ও আটকে পরা সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর জন্য আমরা মিসরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।”
জ্বালানি, বিদ্যুৎ. চিকিৎসা সরঞ্জাম, খাবার ও পানির অভাবে গাজার হাসপাতালগুলোতে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সেখানে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী, সাধারণ মানুষেরা মৃত্যুর প্রহর গুনছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আল-শিফা হাসপাতালে পাঁচ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে দুই নবজাতকও রয়েছে। সম্প্রতি আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত হন। হাসপাতাল থেকে নারী-শিশু ও বয়স্কদের একটি দল চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ওপর হামলা করেন ইসরায়েলি সেনারা। হামলায় নিহতদের দাফন করার মতো পরিস্থিতি নেই।
জ্বালানির অভাবে ও ইসরায়েলি হামলার কারণে এখন পর্যন্ত গাজার অর্ধেকের বেশি বন্ধ হয়ে গেছে।