• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

হিজাব অমান্যকারীদের শনাক্তে বসানো হচ্ছে ক্যামেরা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৩, ০৩:০৭ পিএম
হিজাব অমান্যকারীদের শনাক্তে বসানো হচ্ছে ক্যামেরা

নারীদের হিজাব পরা নিয়ে আরও কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে ইরান। কারা হিজাব পরছেন না, তা শনাক্ত করতে জনসমাগম হয় এমন স্থানগুলোয় ক্যামেরা বসাচ্ছে দেশটির সরকার। এসব ক্যামেরার মাধ্যমে হিজাব লঙ্ঘনকারী নারীদের শনাক্ত এবং শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাধ্যতামূলক হিজাব পরার বিধান লঙ্ঘনকারী ক্রমবর্ধমান নারীদের লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা হিসেবে উন্মুক্ত স্থানে ক্যামেরা বসাচ্ছে ইরানের কর্তৃপক্ষ। এসব ক্যামেরার মাধ্যমে হিজাব লঙ্ঘনকারী নারীদের শনাক্ত এবং শাস্তির আওতায় আনা হবে।

দেশটির পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়, হিজাব না পরা কোনো নারীকে শনাক্তের পর তাকে সতর্ক করতে একটি খুদে বার্তা পাঠানো হবে। ইরানের হিজাব আইনের বিরুদ্ধে যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের প্রতিবন্ধকতা দেশের আধ্যাত্মিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে ও নিরাপত্তাহীনতা বাড়াচ্ছে।

ইরানের আইন অনুযায়ী, হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। তা সত্ত্বেও দেশটির অনেক নারী এখনো হিজাব ছাড়াই বাইরে বের হচ্ছেন। ইরানের বিভিন্ন অঞ্চলে বিপণিবিতান, রেস্তোরাঁ, দোকান ও রাস্তাঘাটে তাদের হিজাব ছাড়া চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। এমনকি নৈতিক পুলিশের সদস্যদেরও এই নারীরা রুখে দিচ্ছেন এমন নানা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে হিজাবনীতি ভঙ্গ করার অভিযোগে মাসা আমিনি নামের এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছিল ইরানের নৈতিকতা পুলিশ। পুলিশ হেফাজতেই তিনি অসুস্থ হয়ে কোমায় চলে যান। পরে তার মৃত্যু হয়। এর প্রতিবাদে ইরানের বিভিন্ন শহরে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। প্রতিবাদ জানাতে অনেক নারী হিজাব ছাড়া রাস্তায় নামেন। ওই বিক্ষোভ দমনে সহিংস পদক্ষেপ নিয়েছিল ইরান সরকার।

তার পরিবার ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন শুরু থেকেই দাবি করছে, গ্রেপ্তারের সময় মাসার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে লাঠির আঘাত করে পুলিশ। এ কারণেই পরে তিনি চেতনা হারিয়ে কোমায় চলে যান।

তবে ইরান সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, মাসা মৃত্যুর কারণ ‘অসুস্থতাজনিত’। দেশটির ফরেনসিক চিকিৎসকদের সংগঠন এক বিবৃতিতে দাবি করে মাসা আমিনির মৃত্যুর কারণ আঘাতজনিত নয়, বরং বিশেষ কোনো শারীরিক অসুস্থতায় তিনি মারা যান। তবে ওই বিবৃতিতে মাসাকে আঘাতের তথ্য অস্বীকার করা হয়নি।

গত সপ্তাহে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তিকে দোকানের মধ্যে হিজাব না পরে আসা এক তরুণী ও তার মায়ের মাথায় দই ঢেলে দিয়েছেন।

১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর ইরানে প্রতিষ্ঠিত ইসলামি শরিয়া আইনে নারীরা তাদের চুল ঢেকে রাখার পাশাপাশি ঢিলেঢালা পোশাক পরতে বাধ্য।

Link copied!