• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কে এবার বন্যায় ১৪ জনের মৃত্যু


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৩, ১০:৫৯ এএম
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কে  এবার বন্যায় ১৪ জনের মৃত্যু

গত মাসের ভয়াবহ ভূমিকম্পের ধাক্কা সামাল দিয়ে উঠতে না উঠতেই মারাত্মক বন্যা দেখা দিয়েছে তুরস্কে। দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দুটি প্রদেশে বন্যায় ১৪ জনের মৃত্যু ও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যায় তলিয়ে গেছে  অসংখ্য ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্যার ফলে তাঁবু ও কনটেইনার ডুবে ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া লোকদের দুর্ভোগ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। নিতদের মধ্যে ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরাও ছিলেন। ভূমিকম্পের পর থেকে ওই ব্যক্তিরা কনটেইনার বসবাস করছিলেন। আদিয়ামান প্রদেশে একটি কনটেইনারে বসবাসকারী দুটি পরিবার বন্যায় ডুবে গেছে। ডুবুরি ও দমকল কর্মীরা সেখানে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলায়মান সয়হু বলেন, “বন্যায় নিহতদের মধ্যে দেড় বছর বয়সী একটি শিশুও রয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে সানলিউরফার একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) প্লাবিত হয়েছে। এ কারণে সেখানকার রোগীদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।”

অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সংস্থা আফাদ জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় দেশটির আদিয়ামান প্রদেশের একটি এলাকায় ১৩৬ মিলিমিটার (৫.৪ ইঞ্চি) এবং সানলিউরফা প্রদেশে ১১১ মিলিমিটার (৪.৪ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

সানলিউরফার গভর্নর সালিহ আয়হান বলেছেন, তার প্রদেশ এমন বন্যা আগে কখনো দেখেনি। কর্মকর্তারা বাসিন্দাদের বাড়ির নিচতলা এবং বেজমেন্ট খালি করার জন্য অনুরোধ করেছেন।

তুরস্কের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, একটি ভবনের বেজমেন্ট থেকে পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মৃতদেহগুলো সিরিয়ান নাগরিকদের।

এ ছাড়া সানলিউরফার আবিদে কোপ্রলু জংশনের কাছে বন্যার কারণে অন্তত ছয়জন আটকে থাকার খবর পাওয়া গেছে। ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বৃষ্টির কারণে এ অঞ্চলের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি আরও কিছুদিন থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ভূমিকম্প আঘাত হানার মাত্র পাঁচ সপ্তাহ পরেই আবারও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়লো দেশটি। রিখটার স্কেলে সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূমিকম্পে পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় দেশ দুটির বিশাল এলাকা।

Link copied!