• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

গরুকে ‘জাতীয় পশু’ ঘোষণার পরামর্শ এলাহাবাদ হাইকোর্টের


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৩, ০১:২০ পিএম
গরুকে ‘জাতীয় পশু’ ঘোষণার পরামর্শ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্ট গরুকে ‘সংরক্ষিত জাতীয় পশু’ হিসেবে ঘোষণার পাশাপাশি গোহত্যা নিষিদ্ধ করে একটি উপযুক্ত আইন প্রণয়নের জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ জানিয়েছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

শনিবার (৪ মার্চ) এলাহাবাদ হাইকোর্টের লক্ষ্নৌ বেঞ্চ এ সুপারিশ জানিয়েছে।

এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছে, তাদের আশা কেন্দ্র গোহত্যা নিষিদ্ধ করে গরুকে ‘সংরক্ষিত জাতীয় পশু’ ঘোষণা করবে।

আব্দুল খালিক নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে “উত্তরপ্রদেশ গোহত্যা প্রতিরোধ আইন, ১৯৫৫- এর অধীনে ফৌজদারি ধারা বাতিল করার আবেদন খারিজ করে বিচারপতি শামিম আহমেদ বলেন, “আমরা একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশে বাস করি এবং অবশ্যই সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে আমাদের। হিন্দু ধর্ম মতে গরু ঈশ্বর এবং এর থেকে নানারকম প্রাকৃতিক উপকার পাওয়া যায়। তাই একে রক্ষা করা উচিত এবং শ্রদ্ধা করা উচিত। গরুকে সংরক্ষিত জাতীয় পশু হিসেবে ঘোষণা করার জন্য সংসদে আইন আনুক কেন্দ্র সরকার।”

নিজের আবেদনে আব্দুল খালিক জানিয়েছেন, পুলিশ কোনো প্রমাণ ছাড়াই তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এবং আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে। তাই অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তার বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলাটি বাতিল করা হোক।

সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি আহমেদ বলেন, “রেকর্ডে থাকা তথ্য থেকে আবেদনকারীর বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হয়।”

এরপর হিন্দু পুরাণের উল্লেখ করে বিচারপতি বলেন, “গরুর সাথে বিভিন্ন দেবতার সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। বিশেষ করে ভগবান শিব (যিনি নন্দীর উপর বসে থাকেন, যা আসলে একটি ষাঁড়) ভগবান ইন্দ্র (কামধেনুর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত), ভগবান কৃষ্ণ (যিনি তাঁর যৌবনে একজন রাখাল ছিলেন)। বিশেষজ্ঞদের মত অনুসারে, বৈদিক যুগ থেকেই গরুকে পূজা করা হচ্ছে। গরুর চারটি পা চারটি বেদের প্রতীক। তার শিং দেবতাদের প্রতীক। তার মুখ সূর্য ও চন্দ্র, এবং তার কাঁধ অগ্নির প্রতীক।”

এর আগে ২০২১ সালে একটি মামলায় গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণার জন্য আইন তৈরির পরামর্শ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। তার আগে ২০১৭ সালে এই দাবি তুলেছিল রাজস্থান হাইকোর্ট।

Link copied!