আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার প্রায় ২৪ দিন পর সরকার গঠন করেছে তালেবান। দলের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে প্রধান ঘোষণা ঘোষণা করা হয়েছে ৩৩ সদস্যের মন্ত্রিসভা। তবে এই নতুন সরকারের গ্রহণযোগ্যতা আর স্বীকৃতি নিয়ে আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে।
এর আগে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও জার্মানি বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও চীন, রাশিয়া আর পাকিস্তান ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করে। বুধবার নতুন সরকার গঠনের পর কার কি অবস্থান চলুন জেনে নেওয়া যাক।
যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার পরিসংখ্যান প্রকাশ করে তালেবান সরকারের সদস্যদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, “আমরা লক্ষ করেছি সদ্য ঘোষিত এই সরকারে কেবল তালেবান সদস্য বা তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা আছেন। কোনো নারী সদস্য নেই। এছাড়া সরকারের কয়েকজন ব্যক্তির কর্মকাণ্ড ও অতীত রেকর্ড নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।”
যদিও তালেবানের কথায় নয়, কাজ দিয়ে সরকারকে বিচার করবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র।
চীন
বেইজিং জানায়, কাবুলে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আফগানিস্তানে “তিন সপ্তাহের নৈরাজ্যের” অবসান হয়েছে। তাই এই পদক্ষেপকে ‘স্বাগত’ জানিয়েছে চীন। এছাড়াও আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে তালেবানদের দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
তুরস্ক
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে তুরস্ক। তবে এই অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভা কতদিন স্থায়ী হবে তা নিয়ে আশঙ্কা জানান তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে জানায়, আফগানিস্তানে নবগঠিত অন্তর্বর্তী সরকার দেশটির সকল গোষ্ঠীকে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে তালেবান সরকারের স্বীকৃতি নিয়ে কোন মন্তব্য করেনি ইউরোপ।
জাতিসংঘ
জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক জানান, সরকারের স্বীকৃতি দেওয়া জাতিসংঘের কাজ নয়। এটা সদস্য দেশগুলোর দায়িত্ব। এছাড়া আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, নতুন সরকার ঘোষণা আফগানিস্তানে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে বলে আশা করছে জাতিসংঘ।
এমন পরিস্থিতিতে মুসলিম দেশগুলো তালেবান সরকারকে গ্রহণ করে নিলেও পশ্চিমা জোট অস্বীকার করতে পারে বলেই ধারনা করা হচ্ছে। যদিও নতুন সরকারের কর্মকাণ্ডের ওপরেই তাদের গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।