আমার হয়েছে যত জ্বালা,
পাঁচ স্বামী প্রতিনিয়ত ব্যতিব্যস্ত রেখেছে এই আমাকে
নিত্য নতুন আবদারে। তদুপরি কেউ বেশি স্বার্থ
আদায় করেছে কি কারো অগোচরে, অহেতুক এই
দুর্ভেদ্য সন্দেহের বাতিক ওদের দেহমন জুঁড়ে, তাই সতত
কড়া গোয়েন্দা নজরদারির অদৃশ্য ক্যামেরা আমারই গতিবিধি ঘিরে।
উহ্ঃ আমি যে দ্রৌপদী। আমারো যে আমিত্ব আছে, নিজস্ব বৈশিষ্ট্য
কিংবা স্বাতন্ত্র্য সত্তা বলে কিছু আছে
ওরা এই সব বুঝতেই চায় না কিছুতে
অথচ আমার এ স্বতন্ত্রতা নিয়ে একদিন
সতেজে ভাস্বর ছিলাম পিতৃগৃহে
দ্রো-প-দী ! দ্রৌ-প-দী !! বলে ...
কিন্তু জংধরা সময়ের এপিটাপে সে দিনের উজ্জ্বলতম সেই রাজনন্দিনী
আজ পাঁচ স্বামীর সংসারে সামান্য এক সেবাদাসী
অথচ আজ এই দাসত্বের শিকল ছিড়ে
দ্রৌপদীত্বের কথা পাড়লে
টেকে না বিদ্রোহী নারীর স্বামীর সংসার।
কী আর করা সমাজ সংসারের দিকে চেয়ে,চেয়ে
দ্রৌপদিত্বকে বিসর্জন দিয়েছি সেই কবেই
তাই এখনো নিজস্ব বিবরে মেধা ও মননে টুকরো, টুকরো
হয়ে যাচ্ছি ক্রমাগত পাঁচ স্বামীর টানাপোড়েনের এই জ্বালাময় সংসারে।
