• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ রমজান ১৪৪৫

গরমে শিশুর ডায়রিয়া হলে যা করবেন


ঝুমকি বসু
প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২২, ০২:৩৫ পিএম
গরমে শিশুর ডায়রিয়া হলে যা করবেন

গরমে শিশু-কিশোরদের দেখা দেয় ডায়রিয়ার সমস্যা। দিনে তিন বা এর চেয়ে বেশিবার পাতলা পায়খানা হতে শুরু করলে বলে ধরে নেওয়া যায় তার ডায়রিয়া হয়েছে। সাধারণত শিশুদের ডায়রিয়া হয় ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কারণে। এর মধ্যে ভাইরাসের কারণেই সবচেয়ে বেশি ডায়রিয়া দেখা যায়। রোটাভাইরাস আর অ্যাডিনোভাইরাস এর মধ্যে বেশি সক্রিয়। শিশুর খেলনা মুখে নেওয়া, খাবার খোলা রাখা, দূষিত পানি পান করা থেকে এই ভাইরাসগুলোর সংক্রমণ ঘটে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের শিশু ও নবজাতক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল মান্নান জানাচ্ছেন কিছু পরামর্শ।

রোগের লক্ষণ 
এ রোগের প্রথম লক্ষণ হলো পানির মতো মলত্যাগ করা। সামান্য পেটে ব্যথাও হতে পারে। হতে পারে বমি। আসতে পারে সামান্য জ্বরও। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নাক দিয়ে পানি ঝরা, সর্দি-কাশি, হাঁচি, নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শিশুর প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যেতে পারে। ঘনঘন পানি তেষ্টা পেতে পারে, জিভ শুকিয়ে যেতে পারে, চোখ ফুলে যেতে পারে। ক্লান্তিভাব ও খিটখিটে মেজাজ দেখা যেতে পারে।

সাবধানতা অবলম্বন
সবসময় খেয়াল রাখতে হবে, সারাদিনে বাচ্চা কতবার প্রস্রাব করছে। জলের মতো মলত্যাগ করছে কিনা, বমি হচ্ছে কিনা, তা নজর রাখতে হবে। সবচেয়ে জরুরি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, বাচ্চা যেন পানিশূন্য হয়ে না পড়ে।

চিকিৎসা ও পরামর্শ 
প্রথম ও প্রধান চিকিৎসাই হলো বারবার খাবার স্যালাইন খেতে দিতে হবে। শরীরে পানি ও লবণের ভারসাম্য বজায় রাখতে খাবার স্যালাইনের কোনো বিকল্প নেই। তবে ছয় মাসের কম বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে খাবার স্যালাইনের সঙ্গে ঘনঘন মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এছাড়া ডাবের পানি, চিড়ার পানি, ভাতের মাড়ের মতো পর্যাপ্ত তরল খাবার খাওয়াতে হবে।

যা খাওয়াবেন, যা খাওয়াবেন না  
ঘরে তৈরি সব স্বাভাবিক খাবার খাওয়াতে হবে। খাবার কখনোই বন্ধ করা যাবে না।  কাঁচকলা দিয়ে নরমভাত খুব উপকারী। এই সময় যেসব শিশু মায়ের বুকের দুধ খায়, তা খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু অন্য কোনোরকম দুধ বা দুধের তৈরি খাবার না দেওয়াই ভালো। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ দেওয়া যাবে না।

কখন ডাক্তার দেখাবেন 
শিশুর খিঁচুনি হলে, নেতিয়ে পড়লে বা অজ্ঞান হয়ে গেলে, অতিরিক্ত বমি হলে, চোখ বসে গেলে, চামড়া ঢিলে হয়ে গেলে, পায়খানার সঙ্গে রক্ত গেলে এবং শিশু যদি কিছুই খেতে না পারে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

Link copied!